ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৮ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শেখ হাসিনা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের কূটনৈতিক এলাকার ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রাস্তায় প্লট (নম্বর ০০৯) বরাদ্দ নিয়ে নিজ মালিকানায় গ্রহণ করেন। এছাড়া, তিনি তার ছেলে-মেয়ে, বোন এবং বোনের সন্তানদের নামে আরও ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ করান। এসব জমি বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় আইন-বিধি ও নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়।
প্রথম মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং রাজউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ শেখ হাসিনার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে পৃথক মামলাও করেছে দুদক। গত ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের অভিযোগ অনুসারে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা তার আত্মীয়দের নামে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ২০০৮ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলা দুটি করা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালানো হবে।
এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পর এমন অভিযোগ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য বড় ধরনের চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র: এফএনএস