বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার আট আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আসামিরা হলেন- পার্থ চক্রবর্তী, অপূর্ব শীল, উজ্জল দাস প্রকাশ জনি দাস, অপু চন্দ্র সাহা, নিলয় দাশ, ধ্রুব দাশ, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরু।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন। তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আট আসামির সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় বিএনপির সাবেক এক নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। তখন চিন্ময়ের অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে দেন। তারা এ সময় প্রায় তিনঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।
একপর্যায়ে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হল গলিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে তিনটি মামলা করেছে।
এছাড়া গত শনিবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা বাদি হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা এবং পাশাপাশি আইনজীবী সাইফুলের ভাই খানে আলম বাদি হয়ে যানবাহন ভাঙচুর ও জনসাধারণের উপর হামলার ঘটনায় ১১৬ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা করেছেন নগরের কোতোয়ালী থানায়।
বাসস