পাবনার ঈশ্বরদীতে অপহরণের তিন দিন পর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা অপহৃত যুবকের ১০ টুকরো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩) ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া থেকে লাশটি উদ্ধার হয়। নিহত হৃদয় হোসেন (২৪) উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর (ফুটবল মাঠ) এলাকার মজনু আলীর ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাকশীর রূপপুর তিন বটতলা এলাকা থেকে প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা ওই যুবকের মোবাইল থেকে কল দিয়ে তার স্বজনের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানান, সকালে দোকানে আসার পরপরই একটি সাদা মাইক্রোবাস থামে। সেখানে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায়। ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপহৃত হৃদয়ের বাবা মজনু বলেন, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে একবার আমার ছেলের মোবাইল থেকে আমাকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের দিনই থানায় অভিযোগ করেছিলাম। আজ ৩দিন পর তার লাশ পেলাম।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পর থেকেই উদ্ধারের জন্য আমদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। আজ সোমবার রাতে মুক্তিপণের দাবীকৃত টাকা নিতে আসা অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতুর মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন চাঁদ আলী নামের একব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মুক্তিপণ দাবি করা অপহৃত যুবকের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের পরেই হৃদয়কে মেরে ফেলেছে। লাশ দিয়ে গন্ধ ছড়িয়েছে। একজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।