সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ দেশের প্রতিটি মানুষকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন তিনি। এসময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পবিত্র সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রতিটি ধর্মের অনুসারীকে নিজ নিজ ধর্মমতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবাদি পালনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। গত ১২ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশের এই উন্নয়নবান্ধব, স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ব্যহত করতে তৎপর রয়েছে। তাদের অপতৎপরতার বিষয়ে আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে। আমরা কোন মতেই এদের অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেব না, ইনশাল্লাহ।’
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছিল। হঠাৎ করে গতকাল কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ রাখার একটি খবরকে কেন্দ্র করে দেশের কিছু কিছু জায়গায় পূজামণ্ডপে বিচ্ছিন্নভাবে হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে এবিষয়ে দেশের স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।’
এ ধরনের পরিস্থিতিতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি দেশের সম্মানিত ইমাম, খতিব, পীর মাশায়েখসহ সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল জনগণকে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করছি।’