ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির সুফল কাজে লাগাতে দেশের উপকূলবর্তী ১৩ জেলায় টেকসই মৎস্য প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, মনিটরিং, বাজারজাতকরণ ও ৬০ হাজার দরিদ্র-অতিদরিদ্র মৎস্যজীবী পরিবারকে টেকসই জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া হবে। জানা যায়, সাগরের জলরাশি ও তলদেশের বিশাল সম্পদকে অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৃএর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদফতর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের আওতায় আদর্শ মৎস্যগ্রাম প্রতিষ্ঠায় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় মৎস্যজীবী সংগঠন তৈরি, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান, অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক আবদুল বারী আনসারী বলেন, ‘প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের বিশাল জলসীমায় যে মৎস্য প্রজাতি রয়েছে সে সম্পর্কে গবেষণা করা হবে। কোন প্রজাতির মাছ কী পরিমাণ আছে এবং কোন সময় কোন মাছটি আহরণ করলে স্টক ঠিক রাখা যাবে এ নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ’ এদিকে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির সুফল কাজে লাগাতে সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সাবেক মৎস্য মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, সমুদ্রের নীল জলের মধ্যে কত সম্পদ রয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে দেশ অনেক বেশি সম্পদশালী হবে। তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্প পরিচালনা ও মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।