গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন ঢাকা-১০ এ ভোটার হতে যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে তিনি ধানমন্ডি থানার নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী আসন ঢাকা-১০ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ থানা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তবে জামায়াতে ইসলামী ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে।
এর আগে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের ভোটার ছিলেন আসিফ মাহমুদ। সেখান থেকে নির্বাচন করার আলোচনা চললেও এখন তিনি রাজধানীতে ভোটার হতে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা প্রায় শেষ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে তিনি সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বিশেষ করে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় এই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা আসিফ মাহমুদ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি এবং ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তিনি স্থান পান। বর্তমানে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক করা আসিফ মাহমুদ ছাত্রজীবনে ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবেও ভূমিকা রাখেন তিনি। বর্তমানে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আসিফ মাহমুদের এই পদক্ষেপ কেবল প্রশাসনিক নয়, বরং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থিতা ঘিরে একটি কৌশলগত পদক্ষেপও হতে পারে।
সূত্র: এফএনএস।