1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‎ফিরে আসুক হলুদ খামের দিন চলনবিল অঞ্চলে নৌকার বিকিকিনি: প্রয়োজন ছাপিয়ে ফিরে আসে অতীত শেখ হাসিনা যে অপরাধ করেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীও তা করেনি: আসিফ নজরুল পাবনার প্রবীণ শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাংলাদেশ গড়তেও মানুষদের হতাশ করবে না এনসিপি: নাহিদ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে সংস্কার মূল্যহীন: মির্জা ফখরুল যুবসমাজ শুধু ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের বর্তমান শক্তি : জাতিসংঘে তৌহিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে “ছওয়াব”-এর গাছের চারা বিতরণ

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের শাস্তি চান নির্যাতিত গৃহবধূ

জালাল উদ্দিন; সাঁথিয়া
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯১ সময় দর্শন

পাবনার সাঁথিয়ায় গৃহবধুকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্য দ্বারা নির্যাতন করায় আদালতে মামলা করেছেন এক নারী। মামলার পর থেকে তাকে মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছেন আসামীরা।

ভূক্তভোগী নারী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন তিনি।

মঙ্গলবার(২২অক্টোবর)দুপুরে সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আইরিন খাতুন(৩৮)।

তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলোঙ্গীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হকের মেয়ে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই ভূক্তভোগী নারী বলেন, গত ২০১৫ সালে সাঁথিয়া উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত উসমান গণির ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে তাঁর বিয়ে হয়।

যৌতুক হিসেবে তার পরিবার আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল শহিদুলকে প্রদান করেন। স্কয়ার ফার্মাসিটিকেলসে স্বামীর চাকরির সুবাদে তিনি টাঙ্গাইলে বসবাস করেন।

বিয়ের পর তাদের সন্তান না হওয়ায় ভারতে গিয়ে প্রায় ২৫লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেন যা ওই নারীর পরিবার বহন করেন।

এরপর তার স্বামী ও শ্বাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন তাকে শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করেন। তিনি একটি চাকরি করতেন সে চাকরি ছেড়ে দিতেও তাকে বাধ্য করেন তার স্বামী।

একপর্যায়ে তার স্বামী জুয়া ও পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি আইরিন খাতুন জানার পর তার ওপড় নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন।

এ ঘটনায় তিনি স্বামী শহদিুল ইসলাম, তার বড় ভাই কামাল হোসেন,শ্বাশুড়ী মমতাজ বেগম,ননদ আফরোজা পারভীন মুক্তিসহ ছয়জনকে আসামি করে এ বছর ৮এপ্রিল টাঙ্গাইলের  মির্জাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আদালতে মামলা করেন। যার মামলা নং-০৭।

কামাল হোসেন বর্তমানে গাজীপুর ‘বিএসটিআই’তে উপণ্ডপরিচালক পদে কর্মরত আছেন। তার নেত্বত্বেই ওই নারীকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।

পরবর্তীতে তার স্বামী তাকে আর নির্যাতন করবেনা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিবে মর্মে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে টাঙ্গাইল আদালত থেকে স্বামীকে তিনি জামিন করান।

কিন্তু জামিনে বের হয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আবারো নির্যাতন শুরু করেন এবং নগদ এক লাখ ৫০ হাজার এবং ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ১০ভরি স্বর্ণ,মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ,ই-পাসপোর্ট,ব্যাংকের এটিএমকার্ডসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ ঘটনায় আইরিন খাতুন আবারো গত ২০ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় স্বামী শহিদুল ইসলামসহ তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। যার মামলা নং-৫৫।

এ ছাড়া তিনি গত ২০ অক্টোবর সাঁথিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এতিম অসহায় নারী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host