পাবনার ফরিদপুরে গুমাণি নদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই মাস ধরে এই নির্মাণকাজ চললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পাউবো। এসব সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে চলছে দখল ও ভবন নির্মাণ বাণিজ্য।
জানা যায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আশির দশকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী থেকে রাজশাহীর চারঘাট পর্যন্ত ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাশের মাটি কেটে বাঁধটি নির্মাণ করায় সেখানে খাল সৃষ্টি হয়। খালটি মিলিত হয়েছে বড়াল নদের সাথে। একসময় এই নদকে ঘিরেই এই শহরের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। কিন্তু ক্রমেই নদের নাব্য সংকট, প্রভাবশালী দখলদারদের অবৈধ দখল এবং ভরাটের ফলে প্রশ্বস্ততা কমে নদটি হারিয়ে ফেলেছে তাঁর গতিপথ ও সৌন্দর্য। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বৃলাহিড়ীবাড়ি ইউনিয়নের এরশাদনগর এলাকায় গুমাণি নদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার, প্লেলাবন, মামুন, মোহাসিন, রুবেল ফকির, ফারুক, আছলাম প্রামাণিক বাচ্চু নামের কয়েকজন পাইবোর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অর্ধ শতাধিক ভবন গড়ে উঠেছে।
পাইবোর খাল দখলকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার জায়গায় আমি ভবন নির্মাণ করছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন দেখে গেছেন।
তবে অন্যান্য দখলকারীদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে পাইবোর জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, দ্রুত অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা হবে।