‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বর্তমান দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে একই সংগঠনের ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে পরিষদ নেতাদের একটি অংশ। এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি যে, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় বহিষ্কার হওয়া এপিএম সুহেল বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্ববর্তী নাম ব্যবহার করে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে। সেখানে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, ঈসমাইল সম্রাট এবং ৩৫ আন্দোলনের একাংশের মুজাম্মেল মিয়াজিসহ কয়েকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অতীতে আমাদের কিছু সার্বজনীন আন্দোলনে তাদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হলেও, তাদের কেউ আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। আমরা মনে করি, তাদের এই কর্মকাণ্ড আমাদের পথচলাকে ব্যাহত করতে সরকারের দমন-পীড়ন এবং চলমান ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ মাত্র।
নবঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ পি এম সুহেলকে। আর নতুন কমিটিতে সদস্য সচিব হয়েছেন ইসমাইল সম্রাট। তারা দু’জনেই আগের কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক পদে ছিলেন। আহ্বায়ক সুহেল ও সদস্য সচিব সম্রাটের সঙ্গে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে মোট ১৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।