নিজের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে, সেটি পাল্টে নতুন একটি কিনতে নাটোরের লালপুর থেকে ঈশ্বরদীতে এসেছিলেন যুবক অংকন আহসান (১৯)। কিন্তু তার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো তাকে। পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘটেছে এমন একটি মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক ঘটনা।
অংকন নাটোরের লালপুর উপজেলার রাকসা ইউনিয়নের কলসনগর গ্রামের শরিফুল মৃধার ছেলে এবং গোপালপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর বাজারে সিএনজির সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী অংকন গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান। মুমূর্ষু অবস্থায় রূপপুর গ্রীনসিটি মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখান থেকে রাজশাহী নেওয়ার পথে দুপুর দেড়টায় বাঘা এলাকায় তিনি মারা যান।
তার চাচাতো ভাই সেজানুর রহমান জানান, অংকন সকালে তার মোটরসাইকেল পাল্টে নতুন একটি মোটরসাইকেল কিনতে ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরই মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে তার দুর্ঘটনার খবর পান। পরে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই অংকন মারা যান।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার সময় অংকনের মোবাইল ফোনটি খোয়া যায়। স্থানীয়রা তার পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় ঘটনাস্থল থেকে ফরিদ আহমেদ নামে একজন তার মানিব্যাগ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে ‘আমার দেশ’ এর ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি ওহিদুল ইসলাম সোহেলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। পরিচয় শনাক্তে অনুরোধ জানিয়ে ‘আমার দেশ’ প্রতিনিধি মুমূর্ষু আহত যুবকের সেই জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তা ব্যাপকভাবে শেয়ার হতে থাকে। এর মাধ্যমেই তার পরিবারের কাছে দুর্ঘটনার খবরটি পৌঁছায় এবং তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন।
সূত্র: আমার দেশ।