বৃহস্পতিবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, তিনি জাতিসংঘের ইতিহাসে সর্বপ্রথম নারী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দু’বার জাতিসংঘের লেভেল-২ হাসপাতাল কমান্ড করেন। দু’বার মিশন এরিয়ায় কান্ট্রি সিনিয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালের জন্য তিনি ‘মিলিটারি জেন্ডার এডভোকেট’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগমের অবদানের কথা উল্লেখ্য করে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত (এসআরএসজি) বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কন্টিনজেন্টের অবদানকে শুধুমাত্র জাতিসংঘ ও স্থানীয়দের চিকিৎসা সেবার জন্যই সকলে স্মরণ করবে না, বরং সর্ব প্রথম নারী কমান্ডার হিসেবে কর্নেল (তৎকালীন) নাজমার জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরিকালীন তিনি দুটি (বিএএফ বেস জহুর এবং বেস বাশার) মেডিক্যাল স্কোয়াড্রন কমান্ড করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি ফোর্স কমান্ডার, এসআরএসজি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের সেনাপ্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রশংসাপত্র লাভ করেন।