আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানোর পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপ করেছে হাইকোর্ট। একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে—বনশ্রীর মেরাদিয়ায় এবার পশুর হাট বসানো যাবে না।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন মাসের জন্য পশুর হাট স্থাপনের ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে এবং একটি রুল জারি করে। আদালতের আদেশে বলা হয়, মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশে খালপাড়ের খালি জায়গায় পশুর হাট বসানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর কলাম থেকে সেই অংশটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে প্রকাশিত ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে ওই স্থানে গরুর হাট বসানোর কথা বলা হয়। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এলাকার বাসিন্দা মো. শাহাবুদ্দিন শিকদার হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা যুক্তি দেন, বনশ্রী একটি পুরোপুরি আবাসিক এলাকা, সেখানে গরুর হাট বসালে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। যানজট, শব্দদূষণ, দুর্গন্ধ এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি তৈরি হয়।
আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার খুররম জাহ মুরাদ বলেন, “গরুর হাট বসানোর ফলে পুরো বনশ্রীজুড়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা একটি আবাসিক এলাকার জন্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
আদালত এই বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ডিএসসিসির প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার এবং খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এ আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বনশ্রীর অনেক বাসিন্দা। তারা বলেন, প্রতি বছর কোরবানির মৌসুম এলেই এই হাট নিয়ে ভোগান্তি শুরু হয়। হাইকোর্টের এ রায় তাদের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।
সূত্র: এফএনএস।