ইউনিভার্সিটি অব মালায়ার ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেনের (৪০) দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে।
তিনি বর্তমানে অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ডায়ালাইসিসসহ অন্যান্য চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, দ্রুত কিডনি ট্রান্সপারেন্ট না করানো গেলে তাকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ফরহাদ হোসেন মান পরীক্ষণ ও পরিদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান ব্যুরো ভেরিতাস (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। দুই সন্তান, স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মা’কে নিয়ে ফরহাদ হোসেন তার ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা খরচও চালাতেন।
অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছে না পরিবারটি। ঢাকা পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থীর জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করেছেন পরিবারটি।
তার চিকিৎসার জন্য এখনও প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিডনি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোন না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছে।
আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ হাজারের কিডনি পুরোপুরি অকেজো হচ্ছে প্রতিবছর। এ ধরনের রোগীর জন্য মাত্র দুরকম চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। হয় ডায়ালাইসিস অর্থাৎ যন্ত্রের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে কিডনির কাজ করানো বা কিডনি প্রতিস্থাপন।
কিন্তু এই দুই ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতিই ব্যয়বহুল। বছরে ৪০ হাজার রোগীর যে কিডনি বিকল হচ্ছে। তাদের সবার চিকিৎসা দিতে চাইলে মানসম্মত হাসপাতালের পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যাপ্তিটা দরকার। এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে নতুন ৪০ হাজার রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া এবং প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
মানসুরা আক্তার মানু (Mansura Akhter Manu), (ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী)
অ্যাকাউন্ট নম্বর: ১০৭-১০১-০০১-৫৭৫৭ কাওরান বাজার শাখা,
সুইফট কোডঃ ০৯০-২৬২-৫৩৭, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।
বিকাশ নম্বর ০১৭১৬১৩১৩১০