জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচারের আগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচন করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের। শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোষর যারা, আগামী নির্বাচনে তাদের আসার সুযোগ নাই। তাদের বিচার করতে হবে। বিচারের পরে কেউ নিরপরাধ প্রমাণিত হয়, তখন আসতে পারে। এই মুহূর্তে কোনো সুযোগ নেই। অনেকের মতো আমরাও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার বিষয়ে রাজি না। কারণ তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। দলটি খুন করলো, মানুষ মারলো, ছাত্র মারলো তাদের বিচার করা প্রয়োজন।
বিদ্যমান সংস্কার নির্বাচনের আগেই সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যায়, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র উচ্চ আদালতের মতামত নিতে পারে। আমরা গণপরিষদের পক্ষে না। আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার দশ মাসে করা সম্ভব।
আবদুল কাদের বলেন, আমরা ১৬৬টি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের মধ্যে ১৪০টিতে ঐকমত্য পোষণ করেছি। ঐকমত্য হয়নি তারা ১০টিতে। আর ১৬টিতে আংশিকভাবে একমত। সংবিধানে মহান আল্লার প্রতি আস্থা বিশ্বাস রাখতে হবে। বহুত্যবাদ(সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব) বাদ দতে হবে।
তিনি বলেন, সংসদের মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষে মত দিয়েছি। উচ্চকক্ষে (সিনেটে) সংখ্যানুাতিকে এক শতাংশ ভোটের ভিত্তিতে আসন বন্টনের অনুরোধ করেছি।
বহুত্যবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি গণতন্ত্রই এনাফ, উনারা অনেক যুক্তি দিয়েছিল। আমরা বলেছি গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদায় থাকলে সমাজে কোনো ধরনের বিভেদ থাকে না। বহুত্ববাদের কোনো প্রয়োজন নাই।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, দ্বিমতের বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, উনারা চেষ্টা করেছেন, এক পর্যায়ে এসে আলোচনা ড্র হয়েছে। আরও সময় লাগবে। কিছু বিষয়ে উনারা বলেছেন বিবেচনা করবো, আমরাও বলেছি কিছু বিষয়ে আমরাও বিবেচনা করবো। কৌশলগত কিছু বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হলে আমরা আপত্তি করবো না।
খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সূত্র: আমার দেশ