ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: সম্প্রতি পাবনার ভাঙ্গুড়া বিএনপির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক)কয়েকটি আইডি দেখা যায়,যেখান থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সত্যকে মিথ্যা,আবার মিথ্যাকে সত্য প্রমাণের যেনো তারা দায়িত্ব নিয়েছেন ! প্রশ্ন হলো -এ কাজটি তারা করছেন কার স্বার্থে? সেটা ইতোমধ্যে অনেকের কাছেই অবশ্য পরিস্কার হয়েছে। জানাগেছে,ভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী নিজের ও পরিবারের মুরুব্বিদের অপরাধ ঢাকতে ‘‘ভাঙ্গুড়া বিএনপি ফেসবুক” আইডি পরিচালনা করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী ঘরনার মিডিয়া মহলের বিতর্কিত দুই সদস্য । তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিপক্ষের কলম সৈনিক,শিক্ষক,রাজনীতিক,সুধিজন,ব্যবসায়ী,সরকারি কর্মকর্তা প্রভৃতি ব্যক্তিকে টারগেট করা হয়েছে। এইভাবে বিএনপির নামে পর্যায়ক্রমে সবার বিরুদ্ধে নির্বিঘ্নে অপপ্রচার চালানো খুব সহজ মনে করছেন তারা। কারণ এর দায় চাপবে বিএনপির ওপর।
গতকাল এই আইডি থেকে একজন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকের বাড়ি ভাংচুরের জন্য উস্কানিও দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কার আমলনামা প্রকাশ করা হবে তাও আগের দিন বলে দেওয়া হচ্ছে। এতে সুধি মহলে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে, তার দায় তারা চাপাচ্ছে বিএনপির ঘারে। এ জন্য ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ডের একটি ঘরে বসে তারা নিয়মিত ওয়ার্ক করছেন বলে জানা গেছে।
আজ জনৈক সংবাদকর্মী বিকাশ কুমার ও বিএনপির নুরুল ইসলাম নামে দু’ব্যক্তি তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে পরিস্কার করেছেন যে, ঐ আইডি বিএনপির নয়,বরং এটা ফেক আইডি। এই আইডি থেকে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের এসব কাজ থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুর মুজাহিদ স্বপন,সদস্য সচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোক,পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক বুরুজ নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গুড়া বিএনপির নামে কোনো আইডি তাদের নেই। এগুলো কুচক্রীমহলের অপপ্রচারনা বলেও তারা দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে এসব অপপ্রচারের কোনো দায় তারা নিবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।