নাহিদ হাসান : দেশে চলছে ইরি ধানের উৎসব। কৃষকেরা মাঠ থেকে তাদের সোনালি স্বপ্নকে প্রক্রিয়াজাত করে তুলছে ঘরে। ধান দেশের খাদ্যের চাহিদা অনেকটাই জোগায় বলে এটি অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। তবে বাতির ঠিক নিচেই যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি ধান প্রক্রিয়াজাত করার সাথে আছে জনদুর্ভোগ। ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এই চিত্রই উঠে এসেছে।
কৃষকেরা কিছু ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হওয়ায় নিকটস্থ সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে এবং খড় শুকাতে দিচ্ছে। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন এবং মানুষ গুলো পরছে বিপাকে। ছোটোখাটো দুর্ঘটনা নিত্য ঘটনা হয়ে পরেছে। স্থানীয় সড়কগুলোতে চলাচলকারী ভ্যান ও অটোরিকশা চালক দের সাথে কথা বললে তারা জানায়, অনেক সময় খড় দিয়ে রাস্তার ধার গর্ত এবং ভাঙ্গা স্থানগুলো ঢেকে থাকে বিধায় না বুঝে অনেকেই দুর্ঘটনায় পরে।
শরৎনগর বাজারের ডা.উদয় কুমার দেব বলেন,কলকতি ও ঝবঝবিয়া গ্রামে রাস্তার ওপর ধানের খড় শুকানোর কারণে পিছলে পড়ে তিনি আহত হন। তিনি জানান,তার মত আরো কয়েকজন মটরসাইকেল থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন।
মোটরসাইকেল আরোহীদের মতামত ও অনেকটা এমনই তবে তারা আরও যোগ করেন, খড় বিছানো রাস্তা পিচ্ছিল হয় ফলে ব্রেক ঠিক মত কাজ করে না এবং তা দুর্ঘটনার দিকে নিয়ে যায়। কেন সড়ক এভাবে ব্যবহার করছেন প্রশ্ন করলে, নাম প্রকাশের অনিচ্ছা পোষণ করে কয়েকজন কৃষক বলেন, তাদের ফসল মাড়াইয়ের জায়গা নেই তাই এই ব্যাবস্থা। তবে অন্যের নিরাপত্তার কি হবে এই প্রশ্নে তারা উত্তর করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। পথচারীদের দাবি এই সমস্যা সমাধানে ব্যাক্তি পর্যায়ে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। তবে যারা সচেতন হচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
ফটো: বেতুয়ান-দেওভোগ-পার ফরিদপুর-ফরিদপুর সড়কের এক অংশ।