অনলাইন ডেস্কঃ
দ্রুত নগরায়ণ হওয়া, ১০-১২ ঘণ্টা বসে কাজ করা, সপ্তাহে তিন বারের বেশি ফাস্টফুড খাওয়া, স্থূলতা এবং অধিক কসমেটিক ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে বাড়ছে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। এ সব বিষয়ে সচেতন হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। গতকাল বিএমএ ভবনের শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভা কক্ষে আয়োজিত ‘স্তন ক্যানসারে পেশাগত ঝুঁকি’ বিষয়ক সচেতনতামূলক গোলটেবিল বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ সব তথ্য তুলে ধরেন। ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি বিকনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ক্যানসার স্ট্যাডি গ্রুপ ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
জাতীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেন, গত ৪০ বছরে সবচেয়ে বেশি নগরায়ণ হয়েছে বাংলাদেশে। ফলে এশিয়ায় প্রতি দুই মিনিটে এক জন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্মজীবীদের মধ্যে প্লাস্টিকের বোতলে পানি পানের প্রবণতা বেশি। তবে একবার ব্যবহূত প্লাস্টিকের বোতলের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পানের ফলে মুখের লালার সঙ্গে প্লাস্টিকের স্পর্শে ‘বিপিএ’ নামের এক ধরনের বিষক্রিয়া শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্তের ঝুঁকি ৩ শতাংশ বেড়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসার বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন দরকার। কারণ দেশে প্রায় ৫০ বছর আগে ক্যানসারের চিকিৎসাসেবা শুরু হলেও রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবার মান ও পরিধি বাড়েনি। দেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটা করে ক্যানসারকেন্দ্র দরকার। সে হিসেবে ১৬০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে সচল ও বিকল মিলে আছে মাত্র ২০টি কেন্দ্র, যা চাহিদা অনুযায়ী খুবই কম। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১৬ লাখ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এর সঙ্গে প্রতি বছর নতুন করে যোগ হয় ২ লাখ।