গত মঙ্গলবার সিনহার মা নাসিমা আক্তারকে ফোন করে সমবেদনা ও সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিহতের পরিবারকে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে নিহতের পরিবারের খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিনহার পরিবার।
সিনহার বড় বোন শরমিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সান্ত্বনা দিয়েছেন, আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাত নামে এক যুবক জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই সিনহার বুকে একে একে তিনটি গুলি ছোড়েন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।’
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তল্লাশিতে বাধা দিয়ে সিনহা হঠাৎ করে পিস্তল বের করে গুলি করার জন্য উদ্যত হন। তখন চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে।
সিনহার পরিবার বলছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও নিজ দেশে সিনহাকে এভাবে মারা যেতে হবে, তা তারা কখনোই ভাবেননি।
৬ বছর বয়সী সিনহার বাড়ি যশোরের বীর হেমায়েত সড়কে। তার বাবা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এরশাদ খান।
সিনহা অবিবাহিত ছিলেন। ৫১ বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন লাভ করেন তিনি। ২০১৮ সালে সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফেও দায়িত্ব পালন করেন সিনহা।
৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।