দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আবারও লকডাউন ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এ খবর শোনার পর রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এসময় গণপরিবহন এবং নৌরুটে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের তারিখ নির্ধারণে শনিবার বিকালে সচিবদের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে সোমবার ভোর থেকেই সারাদেশে লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে শনিবার (৩ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লকডাউনের বিষয়টি জানান।
এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা দেয় সেসমস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা থাকবে। আর শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে। যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিফটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, লকউনের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখা। যদি কোনো মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে চায় সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার চিন্তা চলছে।
তিনি আরও জানান, সীমিত পরিসরে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো রোসটার মেনে চলবে। আন্তঃজেলা, আন্তঃথানায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার দাবি, সপ্তাহ খানেক লকডাউন মেনে চললে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
লকডাউনের বিষয়ে আজ রাতে অথবা আগামীকাল রবিবার প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।