কোন মানুষ যখন সফল হয় তখন সবাই তার সফলতার গল্প বলতে ব্যাস্ত থাকে। কিন্তু এই সফলতার পেছনের ক’ষ্টের গল্প গুলো কেউ শুনতে চায়। আজ আম’রা জানবো ক্রিকেট বিশ্বের অ’তি পরিচিত ক্রিস গেইলের জীবনের গল্প। তবে তার সফলতার গল্প নয় তার পেছনের গল্প। ১৯৮৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জ্যামাইকার এক হতদরিদ্র বস্তিতে ক্রিস গেইলের জন্ম। ৬ ভাই বোনের মধ্যে গেইল বাবা-মায়ের পঞ্চ’ম সন্তান। তার বাবা ছিলেন একজন পু’লিশ। তবে বেতন ছিলো অনেক কম।
আর মা প্রতিবেশির বাড়িতে টুকটাক হালকা খাবার বিক্রি করতেন। সংসারে অভাব লেগেই ছিলো তাদের। ছোট বেলা থেকেই গেইল খুব ডানপিঠে ছিলেন। দুষ্টামির জন্য নিয়মিত মায়ের হাতে মা’র খেতে হতো। কারনটাও বেশ যৌক্তিক ছিলো। সমবয়সীদের সাথে মা’রামা’রি করা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া। ঘোরাঘুরি করেই সারা দিন কাটিয়ে দিতেন। আর স্কুল পালিয়ে ক্রিকেট খেলা ছিলো নেশা। স্থানীয় ক্রিকে’টে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে সবার নজরে আসেন। একসময় স্থানীয় নির্বাচকদের নজরে চলে আসেন।
জ্যামাইকান নির্বাচকদের তার ব্যাটিং স্টাইল পছন্দ হলে তাকে পাঠিয়ে দেন কেন্দ্রীয় ক্রিকেট নির্বাচকদের কাছে। কিছুদিন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খেলার পর চান্স পেয়ে যান অনুর্ধ্ব-১৯ দলে। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে একের পর এক চ’মক দেখিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নে ক্রিস গেইল।তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। থেকে গত ১৪ বছরে সবধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে করেছেন রেকর্ড সর্বোচ্চ ২০টি সেঞ্চু’রি।
তাছাড়া ফর্ম্যাটটিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান, সর্বোচ্চ বাউন্ডারি, দ্রততম সেঞ্চু’রি–ইত্যাদি সব রেকর্ডই এখন তাঁরই দখলে। ভক্তরা তাই প্রায়শ ডাকেন ‘দ্য কিং অব টি-টোয়েন্টি’ নামে। ছোটবেলায় তিনবেলা ঠিকমতো পেট ভরে খেতে না পারা ছেলেটিই আজ ৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক। কিন্তু শৈশবের সেসব ক’ষ্ট’কর দিনের কথা গেইল আজো ভুলতে পারেননি। তাই তো ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে নিজস্ব অর্থায়নে তাঁরই মতো হতদরিদ্র কি’শোর-যুবকদের জন্য গড়েছেন ‘দ্য ক্রিস গেইল একাডেমি’।