ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে ও ব্যারিস্টার রওশন জাহান ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আরসিসি পিলারের ওপর সুদৃশ্যমান ঈদগাহ নির্মাণ করা হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় ঈদগাহটি পানিতে ভাসছে । এতে এর সৌন্দর্য্য ফুটে উঠেছে।
এলাকাটি নিচু হওয়ায় বর্ষাকালের শুরু থেকে পরবর্তী ৪/৫ মাস পানিতে ডুবে থাকে। উঁচু উঁচু ঘরবাড়ি ছাড়া এই অঞ্চলের কোথাও কোনো শুকনো স্থান চোখে পড়ে না। উঁচু কোনো স্থান না থাকায় এই অঞ্চলে ঈদের জামাত তো দূরের কথা মৃত মানুষের জানাজা করার মতো স্থান পাওয়া যায় না মৌসুমের কয়েক মাস। তাই এলাকাবাসীর দুর্দশার কথা ভেবেই এই উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নরসিংহ পাড়া গ্রামে তৈরি করা হয়েছে একটি ভাসমান ঈদগাহ মাঠ। ঈদগাহ মাঠের ওপর এখন দাঁড়ালে চোখে পড়ে চারিদিকের বিস্তীর্ণ জলরাশি। স্রোতধারার কারণে নিজেকে মনে হয় যেন কোনো চলমান জাহাজের যাত্রী।
মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে এবং ব্যারিস্টার রওশন জাহান ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহায়তায় আরসিসি পিলারের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এই ভাসমান ঈদগাহ মাঠ। বর্তমানে এই ঈদগাহ মাঠে নরসিংহ পাড়া, শুকলাই ও শুকরহাট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নামাজ আদায় করে। শুষ্ক মৌসুমে ওপরে ও নিচে মিলে প্রায় ৫ হাজার এবং বর্ষা মৌসুমে ওপরে প্রায় আড়াই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
আসন্ন ঈদুল আজহার জামাত এলাকার মানুষ একত্রে আদায় করতে পারবে ভেবে এলাকাবাসী খুব খুশি।
ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের উদ্যোক্তা মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্ষাকালে এই এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় নামাজ আদায় করা যেত না। সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান করাও সম্ভব হয়ে উঠত না। এই অসুবিধার কথা ভেবে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নরসিংহ পাড়া, শুকলহাট ও শুকলাই গ্রামের মানুষ এবং ব্যারিস্টার রওশন জাহান ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণ করা হয়েছে।