কন্যাসন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত। ইসলাম কন্যা সন্তানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামের আগমনের আগে আরবের সমাজে কন্যা সন্তানকে জীবিত দাফন করা হতো। রোমান সভ্যতায় কন্যাদের বয়স্ক পুরুষদের সাথে বিয়ে দেওয়া হতো। ইসলাম কন্যা ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কন্যা সন্তানের মা-বাবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করনে, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ের ওপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১/২২৩)
ইসলাম ন্যায্যতার ভিত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে। নারী-পুরুষের ভেতরের বৈষম্য দূর করেছে। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে নারীর আটটি অধিকার তুলে ধরা হলো-
১. ইসলাম কন্যা সন্তানকে শিক্ষার অধিকার দিয়েছে এবং পরিবারের কল্যাণে পুরুষের মতোই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
২. ইসলাম কন্যা সন্তানকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার অধিকার দিয়েছে।
৩. ইসলাম পিতার সম্পত্তিতে কন্যা সন্তানের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করেছে।
৪. বৈবাহিক জীবনে সন্তুষ্ট না থাকলে ইসলাম কন্যা সন্তানকে খোলা (বিবাহ বিচ্ছেদ) চাওয়ার অধিকার দিয়েছে।
৫. যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হলে ইসলাম কন্যা সন্তানকে মামলা করার অধিকার দিয়েছে।
৬. ইসলাম কন্যা সন্তানকে নিজ চিন্তা ও মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিয়েছে।
৭. ইসলাম কন্যা সন্তান ন্যায্য অধিকার দিয়েছে।
৮. ইসলাম কন্যা সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অধিকার দিয়েছে এবং প্রতিটি বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিয়েছে।
কন্যা সন্তানের বিশেষ কিছু দায়িত্ব-
১. সমাজে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য সঠিকভাবে পর্দায় থাকা।
২. নিজের ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করা করা।
৩. নিজের পরিবারের যত্ন নেওয়া।
৪. গায়রে মাহরামের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।
৫. স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা এবং নিজের ঈমান সংরক্ষণ করা।
সূত্র: বাসস