শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

পল্লবীতে পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে হয়রানী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৪০ সময় দর্শন

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর পল্লবী এলাকায় পুলিশ কর্তৃক এক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীকে হয়রানীর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাসুত্রে জানাযায়, একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা “আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন” এর পরিচালক এস এম জীবন গত (৮ ডিসেম্বর) রোজঃ মঙ্গলবার বিকাল ০৪:৩০ ঘটিকার সময় তার অফিস থেকে কাজ শেষে রিক্সায় করে মিরপুর-১০ দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা অফিসে যাওয়ার সময় ব্লক-ডি, (পার্কের লাইন) মিরপুর-১২ এলে সিভিল ড্রেসে ৩ ব্যক্তি তার পথরোধ করে নিজেদের পুলিশ ও আনসার পরিচয় দিয়ে চেকিং করার কথা বলে।

পুলিশের পোশাক না থাকায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম জীবন তাদের (পুলিশ) পচিয়পত্র দেখাতে বলেন এবং তারপর চেক করার কথা বলেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন জড় হতে দেখে কনস্টেবল রুহুল পুলিশের পোষাকের উপর থাকা সাদা শার্ট পড়া সিভিল ড্রেস দ্রুত খুলে ফেলে সাথে ব্যক্তি (সম্ভব পুলিশের সোর্স অথাবা তাদের রিকশা চালক) এর হাতে দিয়ে চলে যেতে বললে লোকজন তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এস এম জীবন হেনস্তার স্বীকার হলে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুক লাইভে বিষয়টি শেয়ার করেন। লাইভে স্পষ্ট সাদা কালারের সিভিল ড্রেসটি কনস্টেবল রুহুল এর হাতে দেখা যায়।

ফেইজবুক লাইভে হেনস্তার বিষয়টি ফুটে ওঠে। হেনস্তাকারী পুলিশের নাম রুহুল। তিনি পল্লবী থানার কন্সটেবল পদে কাজ করেন। লাইভ ভিডিওচিত্রে থানার কন্সটেবল রুহুল নিজেকে পুলিশের অবস্থায় ছিল বলে দাবী করলেও স্থানীয়রা লাইভের মধ্যেই তা অস্বীকার করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হলে রুহুল অপর একজনকে ফোন করেন। ভিডিও চিত্রতে রুহুলের অন্য সহযোগিদের সিভিলে দেখা যায় এবং তারা ক্যামেরার সামনে তাদের চেহারা দেখাননি। ঘটনার কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থল এলাকায় ডিউটিতে থাকা পল্লবী থানার এস আই রাজিব সরকারি গাড়ী নিয়ে ঘটনাস্থল আসলে তিনি জোড়পূর্বক ফেইজবুক লাইভটি কেটে দেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেন। এতে স্থানীয়রা এস আই রাজিবের প্রতি ক্ষিপ্ত হন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কিছু ব্যক্তি প্রতিনিধিকে জানান কিছু অসাধু পুলিশ অন্যায়ভাবে পথরোধ করে চেক করার নাম দিয়ে সিভিলে ও পুলিশের পোশাকে পথচারীদের হয়রানী করেন। কিছু অসাধু এস আই ও এ এস আই পুলিশের কন্সটেবল ও আনসার সদস্যদের দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে এভাবে হয়রানী করান এবং মাঝে মধ্যে নিজেরাও বিভিন্ন অপকর্ম করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান- পল্লবী থানার কিছু অসাধু পুলিশের এমন হয়রানী, অপকর্ম ও অত্যাচার নতুন কিছু নয়।

তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ব্যক্তি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বলে হয়রানী করতে এসে পুলিশ নিজেরাই উল্টো ফেসে গেছে।

কিন্তুু এখানে যদি একজন সাধারন ব্যক্তি থাকত তাহলে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে হাজার হাজার টাকা আদায় করে ছাড়ত। এভাবেই একা পেয়ে পথচারীদের মাদক দিয়ে হয়রানী করা তাদের নিয়মিত ডিউটির অংশবিশেষ। পল্লবী থানার কিছু অসাধু পুলিশের কারনে সুনাম নষ্ট হচ্ছে থানার সকল পুলিশের, তাই এধরনের ঘটনার অবসানের জন্য পুলিশের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন পল্লবী থানার আওতাধীন এলাকাবাসী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd