ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট। এখানে অন্তত: ৩০টি খামার ভিত্তিক অনলাইন গরুর হাট রয়েছে। উপজেলা চৌবাড়িয়া-হারোপাড়া,ভবানীপুর ও দিয়ারপাড়া গ্রামের গবাদিপশু পালনকারীরা নিজেদের খামারে গড়ে তুলেছেন এই হাট। প্রচার পচারণার জন্য তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। এভাবে প্রতি মাসে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অনলাইনে কমপক্ষে সাড়ে ৩শ গরু ক্রয়-বিক্রয় হয়। এগুলোর মধ্যে গাভীর সংখ্যা বেশি। যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকা
হারোপাড়া ফ্রেস ডেইরি এন্ড এগ্রো ফার্মের মালিক শহিদুল ইসলাম শাকিল জানান,এখানকার হলিস্টিয়ান,ফ্রিজিয়ান ও মিল্ক ভিটার জার্সি জাতের গাভীর চাহিদা বেশি। এছাড়া ষাঁড় ও মোটাতাজাকরণের জন্য বাছুর গরু পালন করা হয়। সারাদেশে এসব গরুর অনলাইন হাটের বাজার রেয়েছে।
রবিউল ডেইরি ফার্মের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন,এই উপজেলায় অনলাইনে গরু বেচাকেনার ২৫/৩০টি খামার-মার্কেট রয়েছে। যেখানে একটি গাভীর দাম ১,৮০,০০০ টাকা থেকে ৩,০০,০০০ টাকা। এসব গাভী দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব পরিবহন।
জানাগেছে, ১৪/১৫ বছর ধরে ঐ খামারীরা নিজের খামার থেকে উন্নত জাতের গরু ক্রয় বিক্রয় করছেন। সম্প্রতিকালে তারা ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটে গরু ক্রয় বিক্রয় শুরু করেন। এসব খামার ভিত্তিক অনলাইন হাট এখন খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া এলাকার গরুর হাটগুলোতে নগদ টাকায় কেনাবেচা অনেকটা ঝুঁকিপুর্ন ও ঝামেলার কাজ। অনলাইনে এই ঝুঁকি নেই বল্লেইে চলে।
স্থানীয়রা জানান,অনলাইনে গাভী ক্রয় বিক্রয় করে ভবানীপুর ও হারোপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের,রবিউল ইসলাম, রঞ্জু মোল্লা, আব্দুল গনি ও আনোয়ার হোসেনসহ ৬/৭জন গরুর খামারী এখন কোটিপতি হয়েছেন। সরেজমিন দেখা যায়, এখানকার খামারগুলোতে আনুমানিক ৬শ গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা.রুমানা আকতার রোমি বলেন,হারোপাড়া ও ভবানীপুর গ্রামের খামারীদের অনলাইন গরুর হাট এখন সারাদেশে পরিচিত। তারা বিশ^স্ততার সাথে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে তার ধারনা রয়েছে।।