ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সমস্বয় বদলির অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যানুপাতে শিক্ষক পদায়ন ও স্বল্প শিক্ষার্থীর স্কুল থেকে পদ উত্তোলনের বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন এখানে সমস্বয়ের কাজটি করা হয়না। ফলে অধিক শিক্ষার্থীর স্কুলগুলোতে ক্লাশ পরিচালনায় শিক্ষকরা হিমশিম খাচ্ছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইউনিয়ন পর্যায়ে ভেড়ামারা,অষ্টমণিষা,ছোট বিশাকোল ও করতকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয়’শ কিন্তু প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছে মাত্র ১১জন। ছাত্র অনুপাতে এখানে ১৮জন শিক্ষকের প্রাপ্যতা রয়েছে। অথচ কিছু বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীর তুলনায় এক ডজন উদ্বৃত্ত শিক্ষক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাথরঘাটা,কাচারিপাড়া ও ঝিনাইগাড়ি কলকতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যতম।
নিয়মানুযায়ী ৩০জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক পদায়ন করা হয়। উদ্বৃত্ত শিক্ষকের স্কুল থেকে পদসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে অধিক ছাত্রছাত্রীর স্কুলে সমস্বয় বদলি করার কথা কিন্তু এখানে তার কোন বাস্তবায়ন নাই। এমনকি ঐসব স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ডেপুটেশনও দেওয়া হয়নি। ফলে পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জায়গা নেই। এসব স্কুলে বহুতল ভবন নির্মান করা প্রয়োজন। এগুলো হলো ময়দানদিঘী,পুকুরপাড়,অষ্টমণিষা ও শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরৎনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলা শহরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুর্বে এখানে অপরিকল্পিত ভাবে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়,যা আর সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীর আসন বিন্যাসে চরম সংকট তৈরি হয়েছে।
শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা.হাবিবা খন্দকার ইভা বলেন,বর্তমানে তাদের পাঁচটি শ্রেণিতে ৫৫৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ কারণে অধিক ক্লাশ রুমের বিল্ডিং দরকার কিন্তু জায়গা সংকটের জন্য নতুন কক্ষ নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। তাই শিক্ষার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং পাঠদান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী অনুপাতে আরও সাতজন শিক্ষক পদায়ন প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেকেন্দার আলী উক্ত সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন,উদ্বৃত্ত স্কুলের শিক্ষকদের সমন্বয় বদলির উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী অধিদপ্তরে বহুতল ভবন নির্মোণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে। শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা সংকট থাকায় পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ জরুরি বলেও তিনি জানান।।