শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ?

ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিকে শিক্ষক সমন্বয় বদলি নেই! শ্রেনি বিন্যাসে দরকার বহুতল ভবন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ৩৭ সময় দর্শন

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সমস্বয় বদলির অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যানুপাতে শিক্ষক পদায়ন ও স্বল্প শিক্ষার্থীর স্কুল থেকে পদ উত্তোলনের বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন এখানে সমস্বয়ের কাজটি করা হয়না। ফলে অধিক শিক্ষার্থীর স্কুলগুলোতে ক্লাশ পরিচালনায় শিক্ষকরা হিমশিম খাচ্ছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইউনিয়ন পর্যায়ে ভেড়ামারা,অষ্টমণিষা,ছোট বিশাকোল ও করতকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয়’শ কিন্তু প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছে মাত্র ১১জন। ছাত্র অনুপাতে এখানে ১৮জন শিক্ষকের প্রাপ্যতা রয়েছে। অথচ কিছু বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীর তুলনায় এক ডজন উদ্বৃত্ত শিক্ষক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাথরঘাটা,কাচারিপাড়া ও ঝিনাইগাড়ি কলকতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যতম।

নিয়মানুযায়ী ৩০জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক পদায়ন করা হয়। উদ্বৃত্ত শিক্ষকের স্কুল থেকে পদসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে অধিক ছাত্রছাত্রীর স্কুলে সমস্বয় বদলি করার কথা কিন্তু এখানে তার কোন বাস্তবায়ন নাই। এমনকি ঐসব স্কুলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ডেপুটেশনও দেওয়া হয়নি। ফলে পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জায়গা নেই। এসব স্কুলে বহুতল ভবন নির্মান করা প্রয়োজন। এগুলো হলো ময়দানদিঘী,পুকুরপাড়,অষ্টমণিষা ও শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শরৎনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলা শহরে অবস্থিত হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুর্বে এখানে অপরিকল্পিত ভাবে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়,যা আর সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীর আসন বিন্যাসে চরম সংকট তৈরি হয়েছে।

শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা.হাবিবা খন্দকার ইভা বলেন,বর্তমানে তাদের পাঁচটি শ্রেণিতে ৫৫৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ কারণে অধিক ক্লাশ রুমের বিল্ডিং দরকার কিন্তু জায়গা সংকটের জন্য নতুন কক্ষ নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। তাই শিক্ষার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে পুরাতন ভবন ভেঙ্গে এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং পাঠদান সংকট নিরসনে শিক্ষার্থী অনুপাতে আরও সাতজন শিক্ষক পদায়ন প্রয়োজন বলে তিনি জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেকেন্দার আলী উক্ত সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন,উদ্বৃত্ত স্কুলের শিক্ষকদের সমন্বয় বদলির উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী অধিদপ্তরে বহুতল ভবন নির্মোণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে। শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জায়গা সংকট থাকায় পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ জরুরি বলেও তিনি জানান।।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd