ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গণপিটুনিতে নিহত অজ্ঞাত পরিচয় তিনটি লাশ পুলিশ সনাক্ত করেছে। এরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার ফকিরপাড়া গ্রামের রহিম ফকির এর ছেলে ছোরমান আলী(৪০) ও বাঙ্গালা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে দুলাল হোসেন(৩৮)। অপর ব্যক্তির নাম ইয়াকুব আলী(৪২)। সে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার আলোকদিয়া হঠাৎপাড়া গ্রামের মোস্তফা শেখের ছেলে।
পুলিশ জানায়,নিহত তিনজনই ডাকাতি,চুরি ও হত্যা মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী। লাশের ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে তাদের পরিচয় মিলেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় নিহতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গণপিটুনিতে নিহতদের ব্যবহৃত একটি নৌকা ও দু’টি ধারালো অস্ত্র জব্দ করে।
তবে ঘটনার সময় লাশের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা লুট হলেও বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ তা উদ্ধার করতে পারেনি। অথচ ঘটনার পর পরই কতিপয় ব্যক্তি লাশের জ্যাকেট থেকে মোবাইল ফোন ও হাজার টাকা নোটের একটি বান্ডিল লুটে নেয় বলে জনশ্রæতি রয়েছে। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরও খোয়া যাওয়া ঐ টাকার বান্ডিল ও মোবাইল ফোন পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। হত্যার সময় স্পষ্ট ভিডিও থাকলেও হত্যাকরীদের কাউকে আসামী করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নাজমুল হক গণপিটুনিতে ৩ ব্যক্তি নিহতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেলা মর্গে পাঠায়। তাদের পরিচয় না পাওয়া পর্যন্ত লাশগুলো পুলিশের হিমাগারে রাখা হয়। অবশেষে গতকাল নিহতদের আত্মীয় স্বজনের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে টাকা ও মোবাইল ফোন লুটের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান। এ ব্যাপারে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,গত শনিবার(৬জানুয়ারি)ভোর রাতে উল্লেখিত তিন ব্যক্তি গরু চুরিতে ব্যর্থ হয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় গুমানি নদীর ভাটিতে পালিয়ে যাবার সময় ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাছ বিতুয়ান গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে আটক হয় এবং গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়।