ওই সময় তাঁর স্বামী মো. জাফর বাসায় ঘুমিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নীলক্ষেতের একটি পেট্রলপাম্পে চাকরি করেন।
মো. জাফর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঘুমাচ্ছিলাম। পরে খবর পাই নাসরিন পড়ে গেছে। ও বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিল। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। শুধু বলত, ও আর বাঁচবে না।’
নাসরিনের আরেক আত্মীয় প্রথম আলোকে বলেন, ১৯ বছর ধরে নাসরিনের সন্তান হচ্ছিল না। অনেকে অনেক কথা বলত। এসব নিয়ে খুব মন খারাপ করতেন নাসরিন।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। নাসরিনের স্বামী ওই সময় বাসায় ছিলেন না। তিনি হাসপাতালে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, পরিবারের লোকজন বলেছেন, তিনি ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। সন্তান না হওয়ায় হতাশায় ভুগতেন। তাঁরা নাসরিনের চিকিৎসার সব কাগজপত্র পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেছেন।