শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপবৃত্তির নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৫৮ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক:  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত এবং ব্যাংক একাউন্ট খোলার নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ থেকে ১১শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেকেন্ডারি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)-এর আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২২২১ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির তালিকায় নিয়ে আসা হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি মওকুফ থাকবে। নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অর্থ আদায় করা যাবে না। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ শ থেকে ১১ শ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা ঘেঁটে ও সরেজমিনে চাঁদখানা বুড়িরহাঁট এ ইউ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধান আবুবক্কর সিদ্দিক মোবাইলে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে ডেকে এনে উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য টাকা প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭শ থেকে ১১শ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কাজল রেখা, শামিমা আক্তার, সাথী আক্তার, সৃতি আক্তার,সাজেদা আক্তারসহ সবাইকে একই অভিযোগ করেন।

মেলাবর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক বালিকা রানী রায়, শিক্ষার্থী প্রতাপ চন্দ্র রায়, সঙ্গীতা রানী রায়, কাজল রায়সহ অনেকেই বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে উপবৃত্তি করে দেওয়ার জন্য ৫শ থেকে ১১ শ পর্যন্ত টাকা নিয়েছেন।’

নয়ানখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, রহিমা খাতুন, জান্নাতি বেগম, আরেফা বেগম, মোবাশেরিন বেগমসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, আমাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী মঞ্জুরুল ইসলাম উপবৃত্তির তালিকায় না দিতে ৭শ করে টাকা নিয়েছেন।

নয়ানখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এসব ভোকাজ (ভুয়া) কথা।’

মেলাবর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রিয়নাথ রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপবৃত্তি তো দুরের কথা ভর্তিতেই কোনো টাকা নেইনি।’

চাঁদখানা এইউ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুবক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম নুরুল আমিন শাহ উল্লেখ করেন, ‘উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো টাকা নেওয়ার বিধান নেই।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, ‘উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান টাকা নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd