শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

ভাঙ্গুড়ার সাব-রেজিষ্টার অফিস করেন দুইদিন : ফিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০
  • ৬৮৫ সময় দর্শন

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সাব-রেজিষ্টার শাপলা সুলতানা সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে দেড় মাস আগে তিনি এখানে যোগদান করেন। তারপর থেকে তিনি সপ্তাহে রোববার ও সোমবার অফিসে বসেন। অবশিষ্ট তিন দিনই তিনি বাসায় অবস্থান করেন। অফিসের কাজকর্ম সম্পাদনও করেন তিনি ওই দুইদিন। ফলে অন্যান্য দিনগুলোতে এখানে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি হযনা। এতে এলাকার জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া ওই অফিসে একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করতে নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কয়েকগুন বেশি টাকা আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার গদাই রুপসী গ্রামের মো: রাযহান আলী বলেন,আমি ক্রেতা হিসাবে ভাঙ্গুড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গতকাল ১৭ লাখ টাকা মুল্যের একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করেছি। যেখানে লেখনিসহ মোট খরচ হবার কথা ১ লাখ ২৭হাজার টাকা কিন্তু ওই অফিস ও ডিড রাইটার মিলে আমার নিকট থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন। তারা আরো পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশ্ববর্তী উপজেলার একজন দলিল লেখক জানান, লেখনি খরচসহ একটি কবলা দলিল মুল্যের সর্বোচ্চ সাড়ে ৭% রিজিষ্ট্রি খরচ হয়। সেখানে ওই দলিল গ্রহিতার নিকট থেকে ৬৩ হাজার টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে যা প্রতারণার সামিল।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন,অফিস ও সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রহিতাদের নিকট থেকে খরচ নেওয়া হয়। তবে দলিল প্রতি বিপুল পরিমান অর্থ আদায়ের কোন ব্যাখ্যাই তিনি দিতে পারেননি।

সাব-রেজিষ্টি অফিসের ক্লার্ক (মহরার) রফিকুল ইসলাম বলেন,বর্তমান সাব-রেজিষ্টারের দায়িত্ব কেবল ভাঙ্গুড়া উপজেলাতেই কিন্তু এই অফিসে কাজ কর্ম কম থাকায় তিনি দুইদিন অফিস করেন। তবে জরুরি প্রয়োজনে কখনো কখনো অন্য কর্মদিবসে তাকে ডাকা হয়। এছাড়া তিনি উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাইরে তার ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করেন।

গ্রহিতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই মহরার বলেন,রেজিষ্ট্রি খরচ যাই হোক তারা ডিড রাইটারের কাছে দেন। তাই সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্টার শাপলা সুলতানা’র বক্তব্য জানতে মঙ্গলবার দুপুরে তার অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোন নম্বর চাইলে অফিসের মহরার রফিকুল ইসলাম বলেন,তিনি তার মোবাইল নম্বর আমাদের দেননি। যে কারণে ফোনেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd