শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

কুটনামি আর পরকীয়ার আরেক নাম ভারতীয় সিরিয়াল

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩০৩ সময় দর্শন
ভারতীয় সিরিয়াল অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় বাংলাদেশ। প্রতিদিনই নতুন নতুন পর্ব আর ঘটনার চমকের কারণে অনেকের কাছে সিরিয়ালগুলো এখন নেশার মত। সন্ধ্যা হলেও শহর থেকে গ্রাম সবখানেই একচেটিয়া আধিপত্য শুরু করে ভারতীয় সিরিয়ালগুলো।
এমন ভয়ংকর নেশায় মত্ত হয়ে আছে বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী। কলকাতার স্টার জলসা, জি বাংলা কিনবা হিন্দিতে স্টার প্লাস, স্টার ওয়ান, জি টিভিতে চলা সিরিয়ালগুলো নারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এমনকি অনেক পুরুষও আজকাল ঘটা করেই দেখছেন এসব সিরিয়াল।
ঢাকার পাশাপাশি মফস্বলেও ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এই আসক্তি। আর ভারতীয় সিরিয়ালের বিষাক্ত ছোবলের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে সমাজের উপরে।
আসুন জেনে নেয়া যাক ভারতীয় সিরিয়ালের বিরূপ প্রভাবগুলো, যা মূলত ধ্বংস করছে আপনার জীবন!
সংসারে ‘কুটনামি’ করে অশান্তি বৃদ্ধি করা
ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর মূল উপাদান নিঃসন্দেহে কুটনামি। প্রতিদিনই সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে শাশুড়ি-বৌ এর কুটনামি, দুই জা এর কুটনামি কিংবা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র ও কুটনামি। সিরিয়ালে দেখানো এসব ঘটনা ‘স্লো পয়জন’ এর মত কাজ করছে নারীদের ওপর। নিজের অজান্তেই কুটনামি করা শিখে ফেলছেন নারীরা। এক পর্যায়ে মনের বিকৃতির কারণে কুটনামি করেই বিকৃত রুচির বিনোদন পাচ্ছেন আমাদের সমাজের কিছু সংখ্যক সিরিয়াল প্রেমীরা।
সাধারণ বিষয়কেও জটিল মনে করে মানসিক চাপে ভোগা
সাধারণ বিষয়কেও জটিল মনে করে মানসিক চাপে ভোগা ভারতীয় সিরিয়ালে অনেক সাধারণ একটি বিষয়কেও জটিল করে দেখানো হয়। আর তাই যারা নিয়মিত এসব সিরিয়াল দেখে তাদের কাছে খুব সহজ, সাধারণ একটি বিষয়কেও অনেক বেশি জটিল ও কুটিল মনে হতে থাকে। ফলে অযথাই মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় তাদের।
অন্যের সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনা করা
ভারতীয় সিরিয়ালের দেখা দেখি একের কাছে অন্যের সমালোচনা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজে। বান্ধবীদের কাছে, বোনদের কাছে কিংবা অন্য কারো কাছে সমালোচনা করে আনন্দ পাচ্ছে নারীরা। কে কী পোশাক পরছে, কার কতটুকু সম্পত্তি আছে, কার সন্তান আছে কার নেই ইত্যাদি অনধিকার চর্চার অভ্যাস বাড়ছে।
ভারতীয় সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব
আমাদের দেশের বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পূজা, ঈদ, সম্পর্ক সব কিছুতেই পড়েছে ভারতীয় সিরিয়ালের প্রভাব। হিন্দি সিরিয়ালের মতো করে অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা কিংবা ভারতীয় প্রথা অনুসরণ করার কারণে ধ্বংস হয়ে
যাচ্ছে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি।
অতিরিক্ত সাজ পোশাক ও মেকআপ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া
ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকারা মেকআপ করে ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে ওঠে, শপিং যায়। এমনকি গোসল করে আসার পরেও মেকআপ করা থাকে। আর তাই সিরিয়াল আসক্ত নারীদের মধ্যেও অতিরিক্ত মেকআপ করা ও সিরিয়ালের নায়িকাদের মত দামী দামী সাজ পোশাক পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করার মত বাড়ছে।
লোক দেখানো কাজ করা
কার কত দামী শাড়ি আছে, সিরিয়ালের নায়িকাদের স্টাইলের শাড়ি, গলার হার ইত্যাদি সিরিয়ালের ভক্ত নারীদের ধ্যান-জ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার চাইতে কে বেশি খরচ করে এসব কিনতে পারবে ও বান্ধবীদেরকে দেখাতে পারবে না নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা হয় নিজেদের মধ্যে। অসুস্থ এই প্রতিযোগিতায় যারা হেরে যায় তাদেরকে কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করেন না অনেকে।
পরকীয়ার প্রবণতা
ভারতীয় সিরিয়ালে অহরহই যে বিষয়টি দেখাচ্ছে তা হলো পরকীয়া। প্রতিটি সিরিয়ালেই পরকীয়া হলো ঘটনার একটি মূল উপাদান। নৈতিকতা বিরোধী এই সম্পর্ক অতিরিক্ত দেখার কারণে বেশ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে গৃহিণীদের কাছে। তাই একটু সুযোগ পেলেই পরকীয়ায় লিপ্ত হচ্ছে অনেক নারী বা পুরুষ। এমনকি অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে অনেকে।
পড়াশোনায় ক্ষতি
স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া অনেক মেয়েরা ও কিছু সংখ্যক ছেলেরাও সিরিয়ালে আসক্ত। প্রতিদিন পড়াশোনার মূল সময়টি তারা নষ্ট করে এসব সিরিয়াল দেখে। তাদের মা, নানি, দাদিরাও সেই সময়ে বসে সিরিয়াল দেখে বলে সন্তানদেরকে মানা করতে পারেন না। ফলে তাদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সেই ঝরে পড়ছে পড়াশোনা থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd