শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ ভাঙ্গুড়ায় নতুন ইউএনও’র যোগদান- জ্ঞানের নিষ্প্রভ বাতিঘর কি আবার আলোকিত হবে ? বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গুড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন গরুর হাট ! মাসে কেনাবেচা ৬ কোটি টাকা

চাটমোহরে অসহ্য যন্ত্রণা বুকে নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন চায়না খাতুন!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৪০ সময় দর্শন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
‘যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেলে কোনো কিছু ভাল লাগে না। একা একা বসে কাঁদি। ঘরের ভেতরে থাকলে মনে হয় মারা যাবো। তাই প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলে যন্ত্রণা ভোলার চেষ্টা করি। ওষুধ খেলে যন্ত্রণা কমে। সারাদিন, রাত যন্ত্রণায় আমার বেঁচে থাকার স্বপ্ন মরে যাচ্ছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। একটিমাত্র ছেলেকে নিয়ে চিন্তা, আমি মরে গেলে ছেলেটাকে কে দেখবে। আমি বাঁচতে চাই। আপনারা আমাকে বাঁচান।’

এভাবেই নিজের বুক ভরা যন্ত্রণার কথা জানাচ্ছিলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী হতদরিদ্র চায়না খাতুন (৫০)। মরণব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। দেড় বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন ক্যান্সারের যন্ত্রণা। টাকার অভাবে করাতে পারছেন না চিকিৎসা। তার একমাত্র ছেলে হাবিবুল ইসলাম আনন্দ (৯) দাঁথিয়া কয়রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে চায়না খাতুনের বাড়িতে বসে কথা হলে তিনি জানান, দুই বছর আগে নানা রোগ শোকে ভুগে মারা যান তার স্বামী কৃষি শ্রমিক ওয়াজ উদ্দিন। সেই সময় অসুস্থ্য স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে চায়না খাতুনের ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে আর স্বামীর চিকিৎসার খরচ যোগাতে নিজের এই মরণব্যাধির কথা সবার কাছ থেকে গোপন করে যান স্ত্রী চায়না খাতুন। স্বামী মারা যাবার পর আর গোপন রাখতে পারেননি। দিনে দিনে আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বুকের বাম পাশে তিনটি বড় ফোঁড়ার মতো ফুলে উঠেছে। যেখানে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে প্রতিদিন রক্ত ঝরছে। যখন রক্ত বের হয় তখন ব্যথা আর যন্ত্রণায় দু’চোখে অন্ধকার দেখেন চায়না খাতুন। এভাবেই এক দু:সহ যন্ত্রণাবুকে নিয়ে তিনি যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

চায়না খাতুন জানান, দেড় বছর আগে রাজশাহী পপুলার ও ইসলামিক হাসপাতাল এবং এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখালে তারা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ক্যান্সার সনাক্ত করেন এবং অপারেশন করার পরামর্শ দেন। সেইসাথে তার কেমোথেরাপী ও রেডিও থেরাপী নিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন অনেক টাকার। কিন্তু তার পক্ষে সেই টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। এতদিন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে, বাবার বাড়ির সামান্য কিছু জমি ও ছাগল বিক্রি করে অন্তত দুই লাখ টাকা ব্যয় করেছেন তার চিকিৎসায়। এখন প্রতিবেশিরা সহায়তা করলে তাদের মা-ছেলের খাবার হয়। না হলে, না খেয়ে থাকতে হয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা প্রায় বন্ধ। ওষুধ খেতে পারছেন না।

স্থানীয় দাঁথিয়া মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুল মজিদ জানান, মহিলাটির কেউ নেই। আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো সহায়তা করেছি। তার চিকিৎসার সহায়তা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবেদন করতে ফরম পূরণ করে রাজশাহীতে ডাক্তারের স্বাক্ষর নিতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওই ডাক্তার স্বাক্ষর না করায় সমাজসেবা থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন সমাজের বিত্তবান ও দয়ালু মানুষ যদি একটু এগিয়ে আসে, সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে হয়তো চায়না খাতুন চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য জীবনে ফিরতে পারেন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা।

চায়না খাতুনকে সহযোগিতা পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে। ০১৩০৮-৫১৯৪৮৪ (নগদ) এবং ০১৭২৯-৪২৪২২৪ (বিকাশ)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd