উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ এ বছর কোরবানীর পশুর চামড়ার দাম কমে গেছে। গত বছরের তুলনায় গরুর চামড়া গড়ে দেড় থেকে ২শ’ টাকা কমে গেছে। চামড়ার চাহিদা কম ও ক্রেতাও কম। এ বছর পানির দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোট গরুর চামড়া এবার বিক্রি হচ্ছে দেড়শ’ থেকে ২শ’ টাকা প্রতিটি। বড় গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৪ টাকায়।
উল্লাপাড়ার স্থানীয় ফড়িয়া শম্ভ নাথ, রনজিৎ দাস, শিবু দাস জানান, তারা গত ঈদের চামড়ার দাম এখন পর্যন্ত মহাজনদের নিকট থেকে পাননি। অথচ ৩শ’ টাকার একটি চামড়া কিনলেও তা প্রক্রিয়া করতে প্রতিটি চামড়া পিছনে ২শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকার লবন কিনতে হয়। কিন্তু স্বপ্ল লাভে বিক্রি করেও গত বছরের টাকাই এখনো তারা পাননি। স্থানীয় মহাজনেরা করোনার অজুহাত তুলে আজও তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ কনেনি। এ সব ফড়িয়ার গত বছরের পাওনা রয়েছে ২০ লাখ টাকার উপরে।
উল্লাপাড়ার চামড়া মহাজন মহাদেব দাস ও বরাত আলী জানান, গত বছর তারা ৩ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এ সকল চামড়া ঢাকার পার্টির কাছে বিক্রি করেছেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে চামড়া কারখানাগুলো বন্ধ থাকায় কারখানার মালিকেরা এখনো তাদের বকেয়া পরিশোধ করেনি। ফলে পুজি সংকটে এবার তারা বেশী চামড়া কিনতে পারছেন না। অনেক ফড়িয়া তাদের নিকট চামড়া বিক্রি করতে আসলে তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন তারা। মহাজন বরাত আলী জানান, তিনি এ বছর মাত্র ৬শ’ পিচ চামড়া কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাও এর অর্ধেক চামড়া তাকে বাঁকী কিনতে হবে। আদৌও তিনি ক্রয়কৃত এসব চামড়া বিক্রি করতে পারবেন কিনা ? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। মহাদেব দাস বলেন, এ বছর অনেক চামড়াই তাদের অবিক্রিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরাত আলীর মত উলাপাড়ার আরো অনেক মহাজন কম সংখ্যক চামড়া কেনার কথা জানিয়েছেন। এসব কারণেই এ বছর চামড়ার দাম বাজারে অনেক পড়ে গেছে।
উল্লাপাড়া প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোরশেদ উদ্দিন আহমেদ জানান, এ বছর উলাপাড়ায় প্রায় ৩২ হাজার পশু কোরবানী হয়েছে।
ছবি সংযুক্ত