রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২ ভাঙ্গুড়ায় প্রাণি সম্পদ বিভাগের জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী ঘটলো সেবা সপ্তাহের ভাঙ্গুড়ায় ৭ দিন ব্যাপি বই মেলা জমে উঠেছে উপজেলায় এমপি মন্ত্রীর সন্তান-স্বজনরা প্রার্থী হলে ব্যবস্থা উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা : ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় দিন ১৮ এপ্রিল। হোসেন আলী ভারতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান আজ ভাঙ্গুড়ায় দুগ্ধজাত ক্ষুদ্র শিল্পের সফল উদ্যোক্তা কলেজ ছাত্র অপু ঘোষ

ভাঙ্গুড়ায় নৌকা দিয়ে চক্ষু শিবিরের নামে অপচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে !

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০
  • ৪৯৭ সময় দর্শন

ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ভুয়া নামধারী ডাক্তারে এলাকা ছেয়ে গেছে। হাতুরে ডাক্তারের ভুতুরে চিকিৎসায় বিপাকে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন ছাড়াই দু’জন চক্ষু সার্জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। একজন সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে শাস্তি মওকুফ পেয়েছেন। অপরজন নৌকায় মিনি ডিসপেন্সারী নিয়ে দালালদের মাধ্যম বিভিন্ন স্থানের গ্রামীন হাট-বাজারে ধর্না দিচ্ছেন। ডাক্তার তিনি মস্তবড় এমন একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে বসে যাচ্ছেন কোন দোকানে। তখন সেটি হয়ে যাচ্ছে তার চেম্বার ! সিরিয়াল দিয়ে রোগী দেখেন একের পর এক। প্রতি রোগীর জন্য নির্ধারিত ভিজিট মাত্র ৫০ টাকা। এভাবেই চলছে অপচিকিৎসা। গ্রামের নিরীহ মানুষ হচ্ছেন প্রতারিত ।

নামধারী এই চক্ষু সার্জনের নাম সজিব কুমার (৩৫)। তিনি পাশ্বর্বর্তী বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে সিয়াম সামী আই কেয়ার অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টারে কর্মরত রয়েছেন বলে নিজের পরিচয় দেন।

গত শনিবার (১৮ জুলাই) সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা বাজারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের দোকানে দেখা মেলে ওই চিকিৎসকের। তিনি একজন চক্ষু সার্জন সেজে রোগী দেখছিলেন সেখানে। এ সময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছুক্ষণ পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সটকে পড়েন তিনি।

বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, মাইকিং করে বলা হয়,এখানে সব ধরণের জটিল-কঠিন চক্ষু রোগী এবং নাক,কান, গলা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। আরো প্রচার করা হয় শনিবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এবং দুপুর তিনটা থেকে বিকাল ছয়টা পর্যন্ত রোগী দেখবেন বিশেষজ্ঞ চক্ষু সার্জন। রোগী দেখবেন জাহিদুল মেম্বারের দোকানে। তাই আমরা এসেছি। এখন শুনছি তিনি চক্ষু সার্জন নয়,প্যারামেডিক্স।

জানতে চাইলে ওই নামধারী চিকিৎসক সজিব কুমার বলেন, তিনি একজন সহকারী মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড এবং দীর্ঘদিন ধরে পাশ্বর্বর্তী বেড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে সিয়াম সামী আই কেয়ার অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টারে কর্মরত আছেন। বিএমডিসি’র সদস্য বলে তিনি দাবী করেন। তার নিবন্ধন নং ১৩৬৩৮।

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নীতিমালা অনুযায়ী বিএমডিসি’র নিবন্ধন ব্যতীত কেহ ডাক্তার পরিচয়ে কোন রোগী দেখতে পারে না। আর বিএমডিসি তাদেরকেই নিবন্ধন প্রদান করে যারা এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী। ওই নামধারী চিকিৎসক যেহেতু ডিগ্রিধারী নয় সুতরাং তার নিবন্ধন থাকারও প্রশ্ন আসেনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালায় বলা হয় বিএমডিসি অনুমোদিত যোগ্যতা ব্যতিরেক বানিজ্যিক ভাবে চক্ষু চিকিৎসা এবং চশমার ব্যবস্থা পত্র দেওয়া আইনের বহির্ভূত। কিন্তু বিএমডিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এভাবেই পাবনার বিভিন্ন এলাকাতে রোগী দেখছেন তার মত অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd