শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

মানসিক কষ্টে মমতা

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাঁটতে ভালোবাসেন। কলকাতা হোক বা লন্ডন যেখানেই থাকুন না কেন, প্রতিদিন অন্তত ২০ কিলোমিটার না হাঁটলে তাঁর চলে না।

কিন্তু ১০ই মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে জখম হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা, এবং তারপরে পায়ে প্লাস্টার। হাঁটতে পারছেন না। ফলে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন মমতা।

আজ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার সভা থেকে নিজের কষ্টের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।

“আমি পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। এখনও পা ফেলতে পারছি না। চিকিৎসকরা বারণ করেছিলেন এখন বের হতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি পথে নেমেছি। আমার নিরাপত্তায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সাহায্যে আপনাদের সামনে আসছি। কিন্তু এভাবে মাথা কাজ করে না। হাঁটতে না পারলে কর্মশক্তি বাড়ে না। ফলে আমি কতটা মানসিক কষ্টে রয়েছি একবার ভাবুন,” বলেন মমতা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খুব স্বাস্থ্যসচেতনতায় এই ৬৬ বছর বয়সেও নিয়ম করে অন্তত ২০ কিলোমিটার হাঁটেন তিনি। কখনো বাসায় ট্রেডমিলে হাঁটেন আবার কখনো বাসায় ফেরার সময় কোনো পার্কে হেঁটে নেন। অফিসে কাজের ফাঁকে তিনি নিজের ঘরে হন হন করে হাঁটতে থাকেন।

কিন্তু পায়ে আঘাত লাগার পরে সেই নিয়মে ছেদ পড়েছে। মমতা বলেছেন “আমি হাঁটলে আমার মাথা কাজ করে ,আমার হৃদয়ও কাজ করে কিন্তু হাঁটতে পারছিনা” বলেন মমতা।

এক সূত্র জানিয়েছেন, মমতাকে অন্তত আরো তিন সপ্তাহ প্লাস্টার রাখতে হবে। আর ততদিন হুইলচেয়ার ছাড়া কোনো উপায় নেই । আর তাই মানসিক কষ্টে ভুগছেন মমতা।

অন্যদিকে বিজেপি নেতারা মমতার পায়ে আঘাত লাগার ঘটনাকে ভোটের আগে নাটক বলেছেন। এসব আক্রমণ গায়ে না মেখে, মমতা প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি জনসভা করছেন ভোটের প্রচারে বেরিয়ে। হুইলচেয়ারে বসেই বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি।

“এবার হুইলচেয়ারে এলাম… তাই বসে বক্তৃতা দিতে হলো। আমাকে ক্ষমা করবেন আপনারা আর ঠিক হলে আবার এসে দেখা করে যাব” বলেন মমতা।