শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বাগেরহাটে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১

 সাত বছর বয়সী শিশু লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় মিনহাজুল আবেদীন শোয়েব নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

পাশপাশি মিনহাজুল এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত৷ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আসামীর উপস্থিতিতে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল- ১ এর বিচারক জেলা জজ মো. সাইফুল ইসলাম এ রায় দেন। এই মামলার অপর আসামী মিঠু শেখকে খালাস প্রদান করেন আদালত। কারাদন্ডপ্রাপ্ত মিনহাজুল আবেদীন শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ইমনের ছেলে।

২০১৯ সালের ৫ মে লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে (৭) শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে স্থানীয় দিঘিরজান খালের চরে লাশ পুঁতে রাখে মিনহাজুল আবেদীন শোয়েব। নিহত লামিয়া বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী ওমর আলী শেখের মেয়ে ও স্থানীয় কোন্ডলা বড়ু বিবি দাখিল মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। ওই দিন রাত ৯টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা শিশু লামিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

রাতেই হত্যায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়রা নানা বাড়ীতে থাকা বখাটে যুবক মিনহাজুল আবেদীন শোয়েবকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মিনহাজুল আবেদীন শোয়েব পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে ধর্ষণ- শ্বাসরোধে হত্যার পর খালের চরে লাশ পুতে রাখার কথা স্বীকার করে। একই দিন রাতে শিশুটির পিতা ওমর আলী শেখ বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মিনহাজুল আবেদীন শোয়েবকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

একই বছরের ১৩ জুলাই ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে এবং মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব ও তার সহযোগী কোন্ডলা গ্রামের মো. সাহেব শেখর ছেলে মিঠু শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্চশীট দাখিল করেন কার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানায় এসআই হীরন্ময়। আদালত ১৬ জনের স্বক্ষ্য প্রহন শেষে বিকালে বিচারক এই রায় প্রদান করেন। মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড.ফরিদ উদ্দিন।