শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ডোজ তিন মাসের ব্যবধানে নিলে বেশি কার্যকর

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ ছয় সপ্তাহের বদলে তিন মাসের ব্যবধানে নিলে তা বেশি কার্যকর বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার মধ্যকার সময়ে ভ্যাকসিনটি ৭৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। বিখ্যাত গবেষণা জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর পিটিআই’র।

তৃতীয় ধাপের অনিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত ট্রায়াল বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান নিরাপদভাবেই তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

এই গবেষণা দলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও ছিলেন। তাদের মতে, যেহেতু ভ্যাকসিনের সরবরাহ প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত পর্যায়ে রয়েছে, তাই ডোজ গ্রহণের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ব্যবধানের এই নিয়মটি মেনে চললে বেশি মানুষ উপকৃত হবে। এর ফলে বিভিন্ন দেশে আরও দ্রুততার সঙ্গে বেশি সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে।

এ প্রসঙ্গে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং এই গবেষণা নিবন্ধের অন্যতম লেখক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘ভ্যাকসিনের সরবরাহ এখন সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। আর তাই বৃহত্তম জনস্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্য কীভাবে ডোজ দেয়া হলে ভাল হবে সেই সিদ্ধান্ত অবশ্যই নীতিনির্ধারকদের নিতে হবে।

পোলার্ড মনে করেন, অর্ধেক সংখ্যক মানুষকে দুই ডোজ দেয়ার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে এক ডোজ করে ভ্যাকসিন দিলে জনগণের একটি বড় অংশ তাৎক্ষনিকভাবে সুরক্ষার আওতায় আসবে। বিশেষ করে যেখানে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের সীমিত সরবরাহ রয়েছে সেসব জায়গায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে ভালো হয়।

তবে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার উপকারিতা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অধ্যাপক পোলার্ড। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দীর্ঘ সময়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেবে। তাই যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের আমরা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্যও উৎসাহিত করছি।

এই গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা বোঝার চেষ্টা করেছেন, বিভিন্ন সময়ের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের ডোজ নিলে তা কতটা সুরক্ষা দেয়। তথ্য বিশ্লেষণের জন্য তারা যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল সংগ্রহ করেন। এসব ট্রায়ালে সর্বমোট ১৭ হাজার ১৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণ করেছিলেন।