রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য তহবিল কমিয়েছে আমিরাত

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

 জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য তহবিল অনেক কমিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২০ সালে দেশটি আগের সময়ের চেয়ে অনেক কম সহায়তা প্রদান করেছে। গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে আরব আমিরাত। এর প্রভাবেই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ সহায়তার জন্য জাতিসংঘের তহবিলে দেয়া অর্থ কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন সরকার।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় ৫৭ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিশেষ করে ১৯৪৮ সালে যুদ্ধের সময় পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থায় ৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার দান করেছিল আরব আমিরাত। ২০১৯ সালেও একই পরিমাণ অর্থ দিয়েছিল তারা। কিন্তু ২০২০ সালে মাত্র ১০ লাখ ডলার দান করা হয়েছে। শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র সামি মাশাশা শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমেই এই খবর সবার আগে প্রচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে, ২০২১ সালে তারা আবারও পুরোনো অবস্থানে ফিরে যাবে এবং শরণার্থীদের জন্য আরও বেশি অনুদান দেবে।শনিবার এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলেও আমিরাতের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত বছর আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আরব দেশগুলোর মধ্যকার ঐক্যমত থেকে বেরিয়ে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমিরাত। এর পরেই বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো আমিরাতের পথে হেঁটে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে।

এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা সব ধরনের অনুদান দেয়া বন্ধ করে দেয় তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন এবং ফিলিস্তিনকে একঘরে করে দেয়ার জন্য সে সময় নজিরবিহীন কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়।

গত মাসে বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য আবারও সহায়তা চালু করবে। একই সঙ্গে শান্তি আলোচনা নিয়ে পুণরায় কাজ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।