রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় কথিত প্রেমিকের হামলায় বিবাহ অনুষ্ঠান পন্ড

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সিনেমা স্টাইলে প্রেমিকের বিবাহ অনুষ্ঠানে কথিক প্রেমিক সুমন আলী ১৫/২০জনের দলবল নিয়ে বিবাহ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বাড়ির দরজা জানালা ভেঙ্গে বিবাহ পন্ড করে দেওয়াসহ হুমকির অভিযোগ করেছেন কন্যার পিতা। উপজেলার চৌবাড়িয়া কারিগর পাড়ায় ঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পরিবারের স্বামী-স্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার চৌবাড়িয়া কারিগর পাড়ার আব্দুস সামাদের জনৈক কলেজ পড়ুয়া কন্যার বিবাহ দিন ধার্য্য হয় পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলা গুনাই গাছা গ্রামে। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বর পক্ষের লোকজন কন্যার বাড়ি ভাঙ্গুড়ার চৌবাড়িয়া কারিগরপাড়ায় আসে। বরপক্ষকে খাওয়া-দাওয়া শেষে করে এখন বরকনের বিবাহের আয়োজন। কাজী বিবাহ রেজিস্ট্রী শেষ করেছেন। অর্থাৎ তারা দুজনেই স্বাক্ষর করেছেন। এখন শুধু বর ও কনে একে অপরকে কবুল বলে স্বামী ও স্ত্রী বলে স্বীকার করে নিবে। এমন সময় কথিক প্রেমিক সুমন ১৫/২০ জনের দলবল নিয়ে রাত ৯টার দিকে বিবাহ বাড়িতে হাজির হয়। এসময় বিবাহ অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায় এবং বরপক্ষের লোকজন কন্যাকে না নিয়েই তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

অবস্থা বেগতিক দেখে কন্যার বাড়ির লোকজন কন্যাকে ঘরে তুলে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু সুমন ও তার সাথে থাকা লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে বধূবেশে কন্যাকে নিয়ে যেত চায়। পাশাপাশি ওই কন্যাকে অন্য পাত্রের সাথে বিবাহ দিলে প্রাণ নাশের হুমকী দিতে থাকে। এমন হুমকির কারণে কন্যার পিতা আব্দুস সামাদ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। অপরদিকে কথিত প্রেমিকের ও তার সাথে থাকা লোকজনের পিটুনী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কন্যার লোকজন সুমনের সাথে বিবাহ দিতে রাজী হয়ে তাদের বাড়ি থেকে তৎক্ষণাৎ চলে যেতে বলে।

জানা গেছে, সুমন আলী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা। সে বছর তিনেক আগে থেকে বেসরকারি ট্রেনের বড়ালব্রীজ স্টেশনের বুকিং(টিকিট বিক্রেতা) সহকারি হিসেবে চাকুরীর সুবাদে ভাঙ্গুড়াতে অবস্থান করে। সেই সুবাদে বড়ালব্রীজ এলাকায় ও আশপাশের কিছু লোকজনের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ময়মনসিংহ থেকে এসে সে তাদের গ্রামের মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সাহস পায় কোথা থেকে ?

ঘটনার বিষয়ে বেসরকারি ট্রেনের বুকিংসহকারি সুমন আলী বলেন , জনৈক কলেজ ছাত্রার সাথে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে। সুমন আলী আরো বলেন মেয়ের লেখাপড়া থেকে শুরু করে তাদের বাড়ির ৮০% খরচ আমি চালাতাম যা ঔ এলাকার প্রধান থেকে শুরু করে অনেক মানুষ জন অবগত।

জনৈক কন্যার পিতা আব্দুস সামাদ বলেন, বিবাহ অনুষ্ঠানে সুমন লোকজন নিয়ে এসে হামলা করে বিবাহ অনুষ্ঠানটি পন্ড করে দিয়েছে। আবার আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছূ বলতেও পারছি না।

কন্যার চাচা আয়ুব আলী জানান ,ঘটনাটি অত্যান্ত লজ্জার, বিবাহ অনুষ্ঠানে এমন অবস্থা তৈরি হবে এটা খুবই লজ্জার।