সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

হাসিনা-মোদি বৈঠকে সই হতে পারে ৯ এমওইউ

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

সংবাদ ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। ওই বৈঠক শেষে ৯টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। জানা গেছে, কয়েকটি এমওইউ চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। এর আগে চারটি এমওইউ সই হওয়ার কথা সরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছিল।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সম্ভাব্য এমওইউগুলোর মধ্যে সীমান্ত এলাকায় হাতি সংরক্ষণ, বরিশাল পয়োনিষ্কাশন প্লান্ট, কমিউনিটি উন্নয়ন প্রকল্প, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য।

জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগামী বছর মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

এবারের শীর্ষ বৈঠকে পানি বণ্টন, কভিড মোকাবেলায় সহযোগিতা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্য, বিদ্যুতের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে। মনু, মুহুরি, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার, ফেনী ও তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু নিষ্পত্তিতে একটি কাঠামো তৈরি এবং আগামী মাসেই যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক করার প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ। জেআরসি বৈঠকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হবে।

জানা গেছে, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের আশ্বাস বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। ভারত এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কথা দিয়েছে। এবারের শীর্ষ বৈঠকে গুরুত্ব পাবে কভিড মোকাবেলায় ভারতের সহযোগিতা। বাংলাদেশকে তার উৎপাদিত কভিড টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। এর পাশাপাশি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ডের তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কবিষয়ক এক ওয়েবিনারেও এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। জানা গেছে, আগামীকালের শীর্ষ বৈঠকেও এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। ভারত আগামী মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করবে। বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রস্তাব আনবে।

জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারের বৈঠকের এজেন্ডাতেও আছে সীমান্তে হত্যা। বন্ধুত্বের এই সূবর্ণ সময়েও সীমান্তে বেসামরিক বাংলাদেশিদের মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করে ঢাকা।

বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর করতে ভারতীয় উদ্যোগ প্রত্যাশার কথা জানাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভারতের ঋণের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির আগামীকালের বৈঠক থেকেই চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী গতকাল মঙ্গলবার এক ওয়েবিনারে ওই পথে আবার রেল যোগাযোগ চালুর কথা জানিয়েছেন।