রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

চাটমোহরে হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়েগেছে মাঠ

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

চাটমোহরে বিভিন্ন মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়েগেছে। করোনাকালে কৃষক স্বপ্নদেখছে নতুন করে বাচার। কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরজমিনে দেখাযায়, এ বছর চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, বিলচলনসহ উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা আবাদে তেমন কোনো পোকার আক্রমণ না থাকায় কৃষকরা স্বপ্ন দেখছে ভালো ফলনের। তুলনামূলক এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। তাছাড়া সময়মত সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সরিষার আবাদ করতে কৃষকের কোনো প্রকার বেগ পেতে হচ্ছে না।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, উপজেলায় কয়েক দফা বন্যার পানি আসায় মাঠ থেকে পানি নামতে দেরি হয়েছে। এছাড়া মাঠের মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণেই অনেকেই সরিষা বিজ ফেলতে পারেননি। তাই এ বছর সরিষা আবাদ কম হয়েছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল, ৬ হাজার ২০০শত হেক্টর।
কৃষি অফিস থেকে উপজেলার ১ হাজার ৮শ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বিজ ও ২০ কেজি সার দেওয়া হয়েছে। কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমন হলে কি করনীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা সব সময় মাঠে থেকে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন।

চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বছর আমি ৮ বিঘা সরিষার আবাদ করেছি, আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভালো থাকায় সরিষার চারায় কোন ক্ষতি হয়নি, অনেক সুন্দর ফলন হবে আশা করছি দরাপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি কিন্তু বিলের পানি সঠিক সময়ে না নামায় অনেক দেরিতে সরিষা বীজ রোপন করেছি, আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ হারে সরিষা ঘরে তুলতে পারবো। করোনাকালীন কৃষকের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবে এই সরিষার মধ্যে দিয়ে।