রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

সড়ক দূর্ঘটনায় নাগরপুরে একই পরিবারের ৫জন সহ ৭ জন নিহত

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার মুলকান্দি নামক স্থানে ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে । শুক্রবার দুপুর আড়াই টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা “নিউ ভিলেজ লাইন বাস” ও দৌলতপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি মুখোমুখি সংর্ঘষে একই পরিবারের ৫জন সহ ৭জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের মৃত নিতাই দাসের ছেলে হরেকৃষ্ণ (৫০),হরে কৃষ্ণের ছেলে গোবিন্দ্র দাস (২৬),গোবিন্দের স্ত্রী ববিতা দাস (২০), গোবিন্দের মেয়ে রাধা দাস (৬), গোবিন্দের দাদী খুকি বালা দাস (৭০), গোবিন্দের ধর্ম শশুর রাম প্রসাদ (৪০), সমেতপুর গ্রামের সদর উদ্দিনের ছেলে সিএনজি ড্রাইভার জামাল (৩০)। এবিষয়ে গোবিন্দের ফ্যামেলী সূত্রে জানা গেছে, একই সিএনজি করে রাধা দাসকে নিয়ে মানিকগঞ্জ মেডিকেলে ডাক্তার দেখানোর জন্যে যেতে লাগছিল কিন্তু মুলকান্দি নামক এলাকায় পৌছাঁলে এই ঘটনাটি ঘটে ।

 

এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, মৃত গাবিন্দোর মোট ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিবার ছিল এর মধ্যে ৫জন মারা গেছে বাকী তার মা ঝর্না রানী বেঁচে আছে।পরিবারের সবাইকে হারিয়ে তার মা দিশেহারা। দূর্ঘটনার পর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মানিকগঞ্জে যাওয়ার পথে মুলকান্দি নামক স্থানে বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনা স্থলে একজন নিহত ও বাকী ৬জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। ভাদ্রা ইউপি সদস্য মো. বেলাল সরদার বলেন, দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জে যাওয়ার পথে বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন সহ মোট ৭নিহত হয়। ঘটনার পরই ঘাতক বাস চালক পালিয়ে যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসছে এলাকা জুড়ে। এই রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত নিহতদের লাশ দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।