মঙ্গলবার , ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় পুত্রবধু স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়ি অনঢ় অবস্থান : আত্মহত্যার হুমকি

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলেন অধিকার বঞ্চিত এক নববধু।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামে। জানাগেছে,উপজেলার নৌবাড়িয়া গ্রামের রবিউল করিমের মেয়ে মেহরিন সুলতানা (২০) প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি দিয়াপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম(২২)কে কোর্ট ম্যারেজ করেন। কিন্তু স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি না পেয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে বিয়ের কাবিন ও কোর্টের এফিডেভিটের কাগজপত্র নিয়ে শ্বশুর বাড়ি হাজির হন। মেয়েটি শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে নিজেকে খাইরুলে স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে চর-থাপ্প্র মারে এবং ঘার ধরে বার করে দেয়। তারপরও মেয়েটি ঐ বাড়ির বাহির উঠানে বসে থাকেন। ততক্ষণে মেয়েটির স্বামী খাইরুল ইসলাম তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশের এসআই মোদাচ্ছের ঘটনাস্থলে যান। তবে বিষয়টি নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কিত হওয়ায় মেয়েটিকে আইনগত সহায়তা তারা দিতে পারেননি বলে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান।
মেহরিন সুলতানা জানান,এক বছর আগে খাইরুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুযোগে তাদের একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক হয়। মেহরিন গর্ভধারণও করে। তখন খাইরুল শর্ত দেয় যে গর্ভপাত না করলে সে তাকে বিয়ে করবে না। তখন পিল ট্যাবলেট খেয়ে গর্ভপাত করানো হয়। তিনি আরো বলেন,তাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে না নিলে রাতেই আত্মহত্যা করবেন।


উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসনাৎ জাহান বলেন,সামাজিক ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায় কিন্তু ছেলের বাবা বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় আদালতের আশ্রয় নিতে মেয়ের বাবাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি শীতের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির বাহির উঠানেই অবস্থান করছেন বলে জানাগেছে।

আরো জানাগেছে,মেহরিন সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন কলেজ এবং খাইরুল সরকারি ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটো পাশের আওতায় রয়েছে।

রাত পোনে দশটায় জানাগেছে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভিন পাখি বিষয়টি মীমাংশা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার বাবার হেফাজতে পাঠানো চেষ্টা করছেন।