শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৮ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

লিগে নিজেদের মাঠে টানা ৬৪ ম্যাচ অপরাজিত অলরেডরা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০

মূল একাদশের ছয়জন খেলোয়াড়কে ছাড়া একাদশ সাজাতে হয়েছিল লিভারপুল ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপকে। তবে চোটজর্জর দল নিয়েও নিজেদের মেলে ধরল দারুণভাবে। প্রতিপক্ষের ভুলে এগিয়ে যাওয়া দলটি প্রথমার্ধে আরেকটি গোল করে নিয়ন্ত্রণ নিল ম্যাচের। বিরতির পর জালের দেখা পেল আরো একবার। লেস্টার সিটিকে উড়িয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে নিজেদের টানা অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়ল তারা।

অ্যানফিল্ডে রবিবার লিগের ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শিরোপাধারীরা। একটি করে গোল করেন দিয়োগো জোতা ও রবের্তো ফিরমিনো।

এই নিয়ে লিগে নিজেদের মাঠে টানা ৬৪ ম্যাচ অপরাজিত রইল অলরেডরা। ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে দলটির আগের রেকর্ড ৬৩ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা থেমেছিল লেস্টারের বিপক্ষে হেরে।

হারের স্বাদটা যেনো ভুলে গিয়েছিলো লেস্টারসিটি। শেষ ছয়বারই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে রজার্স শিষ্যরা। মাঠে নামার আগে পয়েন্ট টেবিলেও প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে, তবে জয়রথটা যে থামতে পারে তা আগে থেকেই আঁচ করে রেখেছিলো অতিথিরা। কারণ দলটা যে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।

অ্যানফিল্ডে শুরু থেকেই চড়াও সাদিও মানে-ফিরমিনোরা। লাগাতার ছক কষা আক্রমণ। লিড পেতেও দেরি হয়নি। ২১ মিনিটে কর্নার বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান লেস্টার ডিফেন্ডার ইভান্স। তাতেই এগিয়ে যায় লিভারপুল।

লিড পেয়ে আরও খুনে মেজাজে ক্লপ শিষ্যরা। ৪১ মিনিটে আর আত্মঘাতী গোলে নয়, নিজেই ২-০’র স্কোর লাইন এনে দেন দিয়োগো জোটা। রবার্টসনের লম্বা পাসে মাথা ছুঁইয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন এই পর্তুগিজ। স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে অলরেড শিবির।

ফিরে এসে কিছুটা গোছানো লেস্টার সিটি। দু’একটা আক্রমণ করলেও ক্লপের রক্ষণে চীর ধরাতে পারেনি। উল্টো ৫৬ মিনিটে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে দ্য ফক্সেস। পোস্টে লেগে ফিরেছে ফিরমিনোর শট।

তবে ৮৬ মিনিটে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মিলনারের কর্নার কিকে সাবলীল হেডারে লেস্টারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এই ফরোয়ার্ড। আর তাতেই ৩-০’র জয় নিশ্চিত হয় অ্যানফিল্ডের যোদ্ধাদের।

৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২ নম্বরে উঠে এলো লিভারপুল। আর সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লেস্টারের অবস্থান ৪ নম্বরে।