রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আগামীকাল ৬ নভেম্বর আটঘরিয়ায় যুদ্ধ দিবস

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

আগামীকাল ৬ নভেম্বর আটঘরিয়া যুদ্ধ দিবস। ১৯৭১ সালে আটঘরিয়া উপজেলার বংশিপাড়া গ্রামে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং নিহত হন অর্ধিশতাধি হানাদার বাহিনী।

১৯৭১ সালে নভেম্বর মাসে সাড়া দেশে যুদ্ধ ক্রমেই দানা বেধে আসছে। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছোট ছোট মুক্তি বাহিনীর দল আটঘরিয়া উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। ৩ নভেম্বর আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামে মুক্তি যোদ্ধারা ৯ জন রাজাকারকে হত্যা করে। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাক হানাদার ও রাজাকার বাহিনী ৬ নভেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের খোজে বের হয়। এসংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে পাক হানাদারদের প্রতিরোধের পরিকল্পনা নেয়।

সেখানে মুজিব বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন রেনু ও ঈশ্বরদী কমান্ডার ওয়ারেছ এর নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হয়ে হানাদারদের গতিপথ বংশীপাড়া চন্দ্রা নদীর পাশে ঘাটি গাড়ে। রাজাকার ও পাক হানাদাররা সামনা সামনি আসা মাত্রই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ। হানাদারদের ক্যাপন্টেন তাহের ঘটনা স্থলেই মারা যায়। কয়েক ঘন্টা ব্যাপি সম্মুখ যুদ্ধে ঘটনা স্থলেই ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
সেদিন সম্মুখ যুদ্ধে আবুল কাশেম, আবুল খালেক, ইউনুছ আলী, নায়েব আলী, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মালেক, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল সাত্তার, মনসুল আলী, আব্দুর রাজ্জাক। দিনটি উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কমূসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন স্মৃতি স্তমম্ভে পুষ্পর্স্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।