সোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভাঙ্গুড়ায় অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণে জলাবদ্ধতা : ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ ব্যহত

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়বিশাকোল-টু-সাতবাড়িয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্রিজ-কার্লভাট না থাকায় অষ্টমণিষা ও খানমরিচ এ দুটি ইউনিয়নের মাঠ থেকে বন্যার পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না । ফলে ৩ হাজার হেক্টর ফসলী জমিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবী এলজিইডি অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাটি নির্মাণ করায় বিগত দু’বছর কৃষকরা ওই মাঠে তৈলবীজ সরিষা আবাদ করতে পারছে না। এতে তারা মারাত্মক ভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
খানমরিচ ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের জোতদার কৃষক আব্দুল হাই বলেন,দু’বছর আগে ওই সাব-মারসিবল রাস্তাটি পাকা করা হয়। তখন পানি বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্রিজ-কার্লভার্ট নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বন্যার পানি নিষ্কাশন হতে প্রায় একমাস সময় লাগে। বিলম্বে সরিষা আবাদ করলে বোরো ধানের আবাদ করা যায়না। কারণ এসব জমিতে বোরো চারা রোপনে বিলম্ব হলে ধান পাকার আগেই মাঠে বন্যার পানি চলে আসে। ফলে ওই সব জমি এখন এক ফসলী পরিণত হয়েছে।


উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো: বাকি বিল্লাহ বলেন, রাস্তা নির্মাণে এলজিইডির খামখেয়ালিপনার কারণে রাস্তার পশ্চিম পাশের ফসলী জমি হতে পানি বের হতে পারছেনা। ফলে কৃষকরা সময়মত সরিষার আবাদও করতে পারছেন না। তাই দ্রæত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কার্লভার্ট নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা দুর করতে এলজিইডি’র উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তিনি পত্র লিখেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক বলেন,রাস্তাটি বাধা হয়ে দাড়ানোর ফলে ফসলি জমি থেকে দ্রæত পানি নামতে পারছেনা, মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা জমিতে সরিষা বীজ বপন করতেও পারছেন না।

উপজেলা প্রকৌশলী আফ্রোজা খাতুন বলেন,ওই রাস্তায় ১৫টি কার্লভার্ট রয়েছে কিন্তু সেগুলো যথেষ্ট না হওয়ায় আরো কয়েকটি ব্রিজ-কার্লভার্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।