রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

‘আমাদের যেমন ইচ্ছা তেমন ছবি তুলবো’ ক্ষিপ্ত হয়ে বলল নবদম্পতি

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

ভারতের কেরালায় সম্প্রতি এক দম্পতি বিবাহ পরবর্তী ফটোশুট করে আলোচনায় এসেছেন। বলা যেতে পারে সমালোচনার কবলেও পড়েছেন। এই সময়টাতে বিয়ের আগে ফটোশুট একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি এই প্রজন্ম উপভোগ করছে। তাই ফটোশুটকে নিত্য নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনীয় করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে ভিন্ন ধারায় বিয়ের পরবর্তী এমনই ফটোশুট করতে গিয়েই আলোচনায় এসেছেন ঐ দম্পতি।

কেরালার রিশি ও লক্ষ্মী চলতি গত সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বিয়ে করেন। কিন্তু করোনার কারণে বিয়ের কোনো আয়োজন করেননি, হয়নি কোনো অনুষ্ঠান। তবে এই অনুষ্ঠান না করার ফলে নতুন এই আইডিয়া মাথায় আসে। দম্পতি পরিকল্পনা করেন বিবাহ পরবর্তী ফটোশুট করবেন এবং সেটা অনলাইনে পোস্ট করবেন। পারিবারিক বন্ধু অখিল চ্ছবি তোলার গল্প তৈরি করে দিলেন।  যে চিন্তা সেই কাজ। একজন উইডিং ফটোগ্রাফার ভাড়া করলেন এবং কেরালার ইড্ডুকি চা বাগানে ফটোশুট করেন।

এরকম ভাবে কেন ফটোশুট করা হলো? ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে রিশি ও লক্ষ্মী বলেন, ‘আমরা তো বিয়ের ছবি তোলা বলতেই শাড়ি ও বিয়ের পোশাক পরে ছবি তোলাই বুঝি। বুঝি যে মন্দিরে ছবি তুলতে হবে। সবই ঠিক আছে, তবে আমাদের মনে আমরা একটু আলাদা কিছু করি যাতে করে মানুষ মনে রাখে। এজন্যই আমরা এভাবে  ফটোশুট করলাম। এটা আমাদের চিন্তার প্রতিফলন।’

নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি গুলো নিয়ে তর্ক বিতর্কে মেতে ওঠেন। অনেকেই দাবি করেন ছবিগুলো অশ্লীল। কিন্তু রিশি ও লক্ষ্মী তা মানতে নারাজ।

তবে এই দম্পতি বলেন, ‘আমাদের শরীরে এমন কোনও অংশ দেখা যাচ্ছে না যাতে বোঝায় আমরা নগ্ন। এর চেয়েও বেশি খারাপ পোশাকে লোকজন ফটোশুট করে।  তবে ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করার সময় থেকে আমি ভয়াবহ মন্তব্যের ঝড়ের কবলে পড়েছি। প্রচুর অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে ফেসবুকে। অথচ একই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছি সেখানে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য নেই।’

নেটিজেনদের অশ্লীলতার অভিযোগ প্রসঙ্গে লক্ষ্মী বলেন, ‘অশ্লীলতার যে কথা বলা হচ্ছে তা কোন অর্থে? ছবিতে আমার পা ও গলা দেখা যাচ্ছে, এটাই কি অশ্লীলতা? আমরা যেভাবে ফটোশুট করেছি, তার অর্থ এই নয় যে আমাদের শরীরে কিচ্ছু নেই। আমাদের পরিধানে শর্টস (সংক্ষিপ্ত পোশাক) রয়েছে। ছবিতে আমাদের পা ও গলা দেখা যাচ্ছে- এটা অশ্লীলতা প্রমাণ করে না। আর কে কী বলল তাতে আমাদের যায় আসে না। আমাদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, আমরা সলে কী করেছি।’

লক্ষ্মী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এইসব ব্যক্তিদের জন্য ফেসবুক থেকে ছবি সরাবেন না, কোনো ট্রলের উত্তর দেবেন না এমনকী কোনো আইনি পদক্ষেপও নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমার যেমন ইচ্ছা তেমন ছবি তুলবো। এই নিয়ে কে কি বলল মাথা ঘামাবো না।  আইনি পদক্ষেপ নিতে হলেও আমার অনেক সময় চলে যাবে, আমি এতো সময় নষ্ট করতে পারবো না।’