শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

উল্লাপাড়ায় সাক্ষীরা হলেন ছিনতাই মামলার আসামী: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ উল্লাপাড়ার সলঙ্গায় গৃহবধু ধর্ষন চেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় ছিনতাই ও মারপিট মামলার আসামী হলেন ৮ সাক্ষী। এরা হলেন, সলঙ্গা থানার খারিজা ঘুঘাট গ্রামের আনিছুর রহমান (৪০), ছরোয়ার হোসেন (৩০), আব্দুল আলিম (৩৮), আবু তাহের (২৫), ফরিদুল ইসলাম (২৫), মজনু মিয়া (২৭), খলিলুর রহমান (৩৭) ও রোকন শেখ (৩০)। এর প্রতিবাদে আসামীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

এই গ্রামের এক গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার মামলায় এরা সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলার এক নম্বর আসামী আব্দুল হান্নানের বড় ভাই একই গ্রামের আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে সলঙ্গা থানায় কথিত সাঙ্গীদের বিরুদ্ধে মারপিট ও অর্থ ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা দ্বিতীয় দফা এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

ছিনতাই মামলার আসামীদের পরিবারবর্গ রোববার বেলা ১১টায় উল­াপাড়ার হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এই মামলার এক নম্বর আসামী ও পূর্বের ধর্ষন মামলার ১ নম্বর সাক্ষী আনিছুর রহমান অভিযোগ করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে খারিজা ঘুঘাট গ্রামের এক গৃহবধুকে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান ধর্ষনের চেস্টা করে।

এ ব্যাপারে ২৮ সেপ্টেম্বর সলঙ্গা থানায় ধর্ষন চেষ্টার শিকার ওই গৃহবধু হান্নানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা করেন (নম্বর ৩৫/২০৮৩)। এই মামলায় গ্রামের উলি­খিত ৮ ব্যক্তিকে সাক্ষী করা হয়। এসব সাক্ষী থানায় তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষন চেষ্টা মামলার এক নম্বর আসামী আব্দুল হান্নানের বড় ভাই আব্দুল মান্নান ১ অক্টোবর কথিত সাক্ষীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও মারপিটের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সলঙ্গা থানায়। বর্তমানে আব্দুল হান্নান ও তার ভাইয়েরা সাক্ষীদেরকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করছেন।

এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন এই ৮ সাক্ষী। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে মিথ্যা মামলার বাদির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। ছিনতাই ও মারপিট মামলার বাদি আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় যোগাযোগ করলে, পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হুমায়ন কবির জানান, ধর্ষন চেষ্টা মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছিনতাই ও মারপিট মামলাটি থানায় গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত শুরু করেছে। এই মামলায় বাদির অভিযোগের সত্যতা না পাওয়া গেলে পুলিশ অবশ্যই বাদির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবে। ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামী আব্দুল হান্নানকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে উলে­খ করেন পরিদর্শক (তদন্ত)।