রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

মোদিকে ‘ইয়ো ইয়ো টেস্ট’ বোঝালেন কোহলি

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ক্রিকেটারদের ফিটনেস জানার জন্য একটি অপরিহার্য পরীক্ষা হলো ‘ইয়ো ইয়ো টেস্ট’। এই পরীক্ষা কীভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, তার সুফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ব্যাখ্যা করলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক। সেখানেই মোদির সঙ্গে তার আলোচনা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোহলির কাছে জানতে চান, ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষার ব্যাপারে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন ছিল, ‍’এখন শুনি ক্রিকেট দলে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা হয়। বিষয়টা আসলে কি?’ কোহলি বলেন, ‍’ফিটনেসের দিক থেকে ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের সেরা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর যে ফিটনেস, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ফিটনেস এখনও কিছুটা কম। তবে আমরা এই পরীক্ষার মাধ্যমে সেই ব্যবধানটা ক্রমে কমিয়ে ফেলছি।’

ইয়ো-ইয়ো পরীক্ষার সময় ২০ মিটার দূরত্বে মাঠের মধ্যে দুটি নিশান রাখা হয়। বাঁশি দেওয়া হলে খেলোয়াড়েরা এক প্রান্ত থেকে ছুটে অন্য প্রান্তে যান। ফের বাঁশি বাজলে সেখান থেকে আগের জায়গায় দৌড়ে ফিরতে হয়। তৃতীয় বাঁশি বাজলে আবারও আবার অন্য প্রান্তে দৌড়ে যেতে হয়। দু’টি বাঁশির মাঝের সময় ক্রমে কমতে থাকে। ফলে দৌড়ের গতি বাড়িয়ে দ্রুত লক্ষে পৌঁছাতে হয়।

১৩তম আইপিএল খেলতে কোহলি এই মুহূর্তে আরব আমিরাতে আছেন। তিনি মোদিকে বলেন, ‘ভারতীয় দলে আমিই প্রথম এটা শুরু করি। দলের সবাইকেই এই পরীক্ষা দিতে হয়। যদি আমি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারি, তাহলে দল নির্বাচনের সময় আমার নাম বিবেচিত নাও হতে পারে। দলে এই ফিটনেস সংস্কৃতি চালু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর ফলে ভারতীয় দলের ফিটনেস অনেকটাই উন্নত হয়েছে।’