শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আটঘরিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
আটঘরিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি :
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের জাহিদ প্রামাণিকের মেয়ে সাদিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে আনারস প্রতীকের সমর্থক জাহিদ প্রামাণিক ও ছগির প্রামাণিকের বাড়িতে নৌকার প্রার্থী মোহাইমেন হোসেন চঞ্চলের একদল সশস্ত্র সমর্থক হামলা চালায়।
জাহিদ প্রামাণিকের মেয়ে সাদিয়া বলেন, “বিকালের দিকে হঠাৎ করেই সন্ত্রাসীরা আমার অসুস্থ বাবাকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসেন। এ সময় আফাই মোল্লা বাবাকে ধমক দিয়ে জানতে চান তিনি কেন নৌকার ভোট করছেন না। এক পর্যায়ে বাবাকে তাদের সঙ্গে ভোটের প্রচারণায় যেতে বলেন।”
“অসুস্থ থাকায় বাবা বাইরে যেতে রাজি না হলে নৌকার সমর্থক সন্ত্রাসীরা রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। বাবাকে ছেড়ে দিতে তাদের কাছে মিনতি করলে তারা আমাকে ও আমার মা রোমেছা বেগমকেও (৪৫) পিটিয়ে আহত করে।”
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি থাকা ছগির প্রামাণিক বলেন, “আনারস প্রতীকের পক্ষে ভোট করায় বিকালে আমার বাড়িতে শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা করেছে। তারা আমাকে ও আমার ছেলে রফিকুল (৩২), পুত্রবধূ জান্নাত (২৮), স্ত্রী লতিফাকে (৫০) বেধড়ক পিটিয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে আমাদের এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না বলেও শাসিয়ে গেছে তারা।”
এদিকে হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিচার দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন ও তার সমর্থকরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম শাহীন বলেন, “কয়েকদিন আগেও নির্বাচনী প্রচারণায় আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নৌকার প্রার্থী মোহাইমিন হোসেন চঞ্চলের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার কর্মীদের হত্যাচেষ্টা করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল বলেন, “হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের অপচেষ্টা করছেন।”
আটঘরিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, “শুক্রবার বিকালের হামলার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। গুরুতর আহত দুইজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটকের কথা জানালেও  ওসি তার পরিচয় জানাননি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”