শনিবার , ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের

অনলাইন ডেস্কঃ

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘কেরোসিন, ডিজেল, জ্বালানী তেল ও এলপি গ্যাসের দাম অস্বাভাবিক হারে মূল্য বৃদ্ধির আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এগুলোর দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি।’

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ দফায় দফায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করে আসছে।’

বুধবার দিবগত রাতে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ ভাগ বৃদ্ধি করে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১২ কেজির মূল্য ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে ১ হাজার ৩১৩ টাকা করা হয়েছে। এলপি গ্যাসের মূল্য গত ৪ মাসে ৪৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাড়ানো হলো। গত জুলাই মাসে এর মূল্য ছিল ৮৯১ টাকা। এই মূল্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ সৃষ্টি করবে বলে মনে করে বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের মূল্য বাড়ায় জনজীবনে মূল্যস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির পাশাপশি সেচ পরিবহনসহ সামগ্রিক ব্যয় অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাবে। জনজীবনে দুর্গতির শেষ থাকবে না। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মধ্যম ও নিন্ম আয়ের মানুষ ভয়ানক দুর্ভোগের মধ্যে পড়বে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘যেখানে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে অথচ বাংলাদেশে এর দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। যাতে ক্ষমতাসীনরা জনগণের টাকা লুটপাট করে আগের মতোই বিদেশে পাচার করতে পারে। এখন ভর্তুকি কমাতে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, এতে জনগণের পকেট কাটা থামবে না বরং আরও অত্যুগ্র মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। এই দাম বৃদ্ধির দুর্বিষহ প্রভাব অর্থনীতির সব খাতে পড়বে।’